
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকা পারিবারিক বাড়ি ফিরে পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মালিক পরিবারের সদস্য মুফতি ফাহিম বিল্লাহ হাশিমী। শনিবার (১৭ মে) বিকেলে কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়া মোড় সংলগ্ন ওই বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি ফাহিম বিল্লাহ হাশিমী জানান, “১৯৯৭ সালে আমার মায়ের নামে এই বাড়িটি নির্মাণ করি। কিছুদিন পর বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে স্থানীয় সিরাজ মিয়া ও তার ছেলেরা, আঠারবাড়ীর বাবুলসহ একটি প্রভাবশালী চক্র ভুয়া দলিল তৈরি করে বাড়িটি জোরপূর্বক দখলে নেয়। সেসময় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ ও পৌরসভার একজন মেয়রেরও সহায়তা ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।”
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নানা চেষ্টা করেও বাড়িটি ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়নি। দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বললেই হুমকি-ধামকি দেওয়া হতো। তবে সম্প্রতি জনপ্রিয় নেতা ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর আন্তরিক প্রচেষ্টা, উপজেলা বিএনপি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আলোচনার মাধ্যমে বাড়িটি বুঝে পাই। এতে আমি ও আমার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত, কারণ আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।”
বাড়ি ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়ায় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে—এমন গুজবের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং ড. হিলালী সাহেব তাঁর নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন একজন আলেম ও কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে কোনো অন্যায় না হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি ফাহিম বিল্লাহ হাশিমীর ভাই মুফতি নাঈম বিল্লাহ হাশিমী, চাচাতো ভাই পলাশ ভূঞা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে দুপুরে বাড়িটি বুঝে নিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন। ওই ঘটনায় মুফতি নাঈম বিল্লাহ হাশিমী বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় আটজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি কীভাবে আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করা যায়, সে বিষয়েও পরিবারটি পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।