রেজুয়ান হাসান, নেত্রকোনা মিডিয়া প্রতিনিধি;
আজ শনিবার সন্ধ্যার অন্ধকারে ঘটলো এক বিস্ময়কর ঘটনা। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস হঠাৎ করেই ইঞ্জিনসহ একটি বগি নিয়ে চলে গেল নেত্রকোনার দিকে, আর বাকি বগিগুলো থেমে রইলো শ্যামগঞ্জ ও চল্লিশা এলাকার মাঝামাঝি।
ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যা সাতটার দিকে। শ্যামগঞ্জ স্টেশন ছাড়ার পরপরই চল্লিশা এলাকায় গিয়েই ট্রেনটির সংযোগ হুক ভেঙে যায় বলে জানা যায়। এতে ইঞ্জিনটি একটি বগি টেনে নিয়ে চলে আসে নেত্রকোনা বড় স্টেশনে, অথচ বাকিগুলো রয়ে যায় মাঝপথেই।
নেত্রকোনা রেলস্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি, তবে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে বগিগুলো উদ্ধারের জন্য।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, এমন পরিস্থিতিতে তাদের কেউ দিকনির্দেশনা দেয়নি। মোহনগঞ্জের যাত্রী রফিকুজ্জামান বলেন, শুধু ট্রেন না, আমাদের ভরসাটাও থেমে গেল মাঝপথে। পরে বাধ্য হয়ে আমরা মালপত্র নিয়ে বাস ও সিএনজিতে রওনা হই।
এই ঘটনা শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং রেল ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর তুলে ধরেছে নির্মমভাবে। প্রশ্ন উঠেছে এই ভুলের দায় কে নেবে?
এখন সময় এসেছে রেলপথের এই নীরব সংকেতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবার। না হলে পথে থেকে যাওয়া বগি কেবল ট্রেনের গল্প হবে না, হয়ে উঠবে মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি।