
শাহ আলী তৌফিক রিপন ,বিশেষ প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবুল কালাম (৩০) নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই শাহ আলম (৪৫) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) সন্ধ্যায় কেন্দুয়া পৌরসভার আইথর এলাকার সেনবাড়ি মোড়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামের মৃত আ: হেকিম ফকিরের ছেলে আজিজুল হক (৫০) ও একই পৌরসভার আইথর মহল্লার মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে আঃ হান্নান (৫২) গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অংশীদারী জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরা পরস্পর মামাতো-ফুফাতো ভাই।
জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জের ধরে আজিজুল কিছুদিন আগে সেনবাড়ি মোড় সংলগ্ন বিবাদমান দুই কাঠা জমি বিক্রির চেষ্টা করেন। ওই জমিটি আবুল কালামের ঘরের লাগোয়া হওয়ায় আজিজুল তাঁকে জমি কিনতে প্রস্তাব দেন। কিন্তু কালাম হাতে টাকা না থাকায় কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলেন।
এই সুযোগে কালামের চাচাতো ভাই জজমিয়া (৩৫), পিতা- চান মিয়া, আজিজুলকে এক লক্ষ টাকা বায়না দিয়ে জমি কেনার চুক্তি করেন। ফলে কালাম ও জজমিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এলাকাবাসীর দাবি, তাদের মধ্যে আগে থেকেই সীমানা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল।
বাকবিতণ্ডার ঘটনা আজিজুলকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে আইথর গ্রামে এসে কালাম ও তার পরিবারকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি কালামের বাড়ির পেছনের একটি লিচু গাছ কেটে ফেলেন এবং গোয়াল ঘরের গরু ছেড়ে দেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কালাম আজিজুল ও তার ভাতিজা কিরনের সাথে তর্কে জড়ান। পরে এশার নামাজের সময় সেনবাড়ি মোড়ে আজিজুল, কিরন ও আরও দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে কালাম ও তার বড়ভাই শাহ আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে আবুল কালামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, “এখনও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।