, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী পড়াতে মধ্যস্থ করতে গিয়ে হামলার শিকার হায়দার আলী, পরিবারের আরও ১০-১২ জন আহত।

  • প্রকাশের সময় : ১১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ১৯৩ পড়া হয়েছে

মোঃ শাকিল আহামাদ রাজশাহী

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়ঢগাছি ইউনিয়নের মথুরা গ্রামে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তি। তিনি একটি বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশ্যে দুই পক্ষের মাঝে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ মে, দুপুর ১২টার দিকে। হায়দার আলীর অভিযোগ, সুজন নামের এক ব্যক্তি ও তার সঙ্গে থাকা আরও ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার ও তার পরিবারের উপর লাঠি, লোহার রড, শাবল, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে হায়দার আলীসহ তার পরিবারের অন্তত ১০-১২ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা, হাত ও পায়ে সেলাই দিতে হয়েছে।




ভুক্তভোগী হায়দার আলী জানান, দেলোয়ার হোসেন নামের এক প্রতিবেশী ইট ব্যবসায়ী সুজনকে ইট সরবরাহ করেন। সুজন টাকা না দেওয়ায় দেলোয়ার তাকে সঙ্গে করে নিয়ে সুজনের কাছে বিষয়টি জানতে যান। সেখানে যাওয়ার পরপরই সুজন উত্তেজিত হয়ে হায়দার আলীকে গালাগালি করতে শুরু করে এবং তিন নম্বর ইট দেওয়ার অভিযোগ তোলে। দেলোয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রমাণ চায়।

তর্কের একপর্যায়ে সুজনসহ তার সহযোগীরা একযোগে হায়দার আলী এবং তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় হায়দার আলীসহ বেশ কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে কিছুজন বাসায় ফিরে গেছেন, তবে এখনও কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন মোঃ হায়দার আলী, মোহাম্মদ রেজাউল, মোঃ ইমন, মোছাঃ শিলা, মনোয়ারা বেলিসহ আরও ৮-১০ জন।

ঘটনার পর হায়দার আলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সুজন, কটা, মন্টু, মঞ্জিল, জাহাঙ্গীর, তুহির, তুষারসহ আরও ১০-১৫ জন।

হায়দার আলী সাংবাদিকদের জানান, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। যারা আমাদের উপর হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক—এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।”

জনপ্রিয়

রাজশাহী পড়াতে মধ্যস্থ করতে গিয়ে হামলার শিকার হায়দার আলী, পরিবারের আরও ১০-১২ জন আহত।

প্রকাশের সময় : ১১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

মোঃ শাকিল আহামাদ রাজশাহী

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়ঢগাছি ইউনিয়নের মথুরা গ্রামে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তি। তিনি একটি বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশ্যে দুই পক্ষের মাঝে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ মে, দুপুর ১২টার দিকে। হায়দার আলীর অভিযোগ, সুজন নামের এক ব্যক্তি ও তার সঙ্গে থাকা আরও ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার ও তার পরিবারের উপর লাঠি, লোহার রড, শাবল, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে হায়দার আলীসহ তার পরিবারের অন্তত ১০-১২ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা, হাত ও পায়ে সেলাই দিতে হয়েছে।




ভুক্তভোগী হায়দার আলী জানান, দেলোয়ার হোসেন নামের এক প্রতিবেশী ইট ব্যবসায়ী সুজনকে ইট সরবরাহ করেন। সুজন টাকা না দেওয়ায় দেলোয়ার তাকে সঙ্গে করে নিয়ে সুজনের কাছে বিষয়টি জানতে যান। সেখানে যাওয়ার পরপরই সুজন উত্তেজিত হয়ে হায়দার আলীকে গালাগালি করতে শুরু করে এবং তিন নম্বর ইট দেওয়ার অভিযোগ তোলে। দেলোয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রমাণ চায়।

তর্কের একপর্যায়ে সুজনসহ তার সহযোগীরা একযোগে হায়দার আলী এবং তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় হায়দার আলীসহ বেশ কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে কিছুজন বাসায় ফিরে গেছেন, তবে এখনও কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন মোঃ হায়দার আলী, মোহাম্মদ রেজাউল, মোঃ ইমন, মোছাঃ শিলা, মনোয়ারা বেলিসহ আরও ৮-১০ জন।

ঘটনার পর হায়দার আলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সুজন, কটা, মন্টু, মঞ্জিল, জাহাঙ্গীর, তুহির, তুষারসহ আরও ১০-১৫ জন।

হায়দার আলী সাংবাদিকদের জানান, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। যারা আমাদের উপর হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক—এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।”