, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬। কেন্দুয়ায় নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীম এর পরিবারের পাশে ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী।

দায়িত্বে অবহেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাচ্চাসহ প্রসূতির মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • ৪৯ পড়া হয়েছে

জাকিরুল ইসলাম বাবু,জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সের দায়িত্বে অবহেলায় পেটের সন্তানসহ ভাবনা আক্তার (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় আজ রোববার (২৫ মে) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাইনী চিকিৎসক ডা. সানজিদা তাবাসসুমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ভাবনা আক্তার মেলান্দহ পৌরসভার পশ্চিম জালালপুর এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহীমের স্ত্রী।

পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রসব বেদনায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত ভাবনা মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। দায়িত্বরত নার্স নারগিস বেগম তাঁকে ওটিতে নিয়ে প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহানা হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন।তবে মৃত্যুর পর ডা. ফারহানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী মো. রফিকুল ইসলাম হাসপাতালে উপস্থিত হন।

নিহতের স্বামী ইব্রাহীম বলেন, “ওটিতে নেওয়ার পর আমার স্ত্রী পানি চেয়েছিল, কিন্তু দেওয়া হয়নি। ছটফট করছিল, অথচ বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ রেখেই ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করা হয়। আমি বাইরে থেকে দেখেছি সে নড়াচড়া করছিল না তবুও তাকে অক্সিজেন লাগানো হয়নি আধাঘন্টা পর লাগাইছে। তাদের অবহেলার কারণেই আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমি দায়ীদের বিচার চাই।”

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ডা. ফারহানার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একইভাবে, হাসপাতালে গিয়েও পাওয়া যায়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলামকে।

তবে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইফুন্নাহার সানি বলেন, “জানা গেছে, রোগীর বাড়িতেই ঘরোয়া ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়েছিল, যা ব্যর্থ হয়। পরে হাসপাতালে আনা হলে রোগীর সিজারের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু স্বজনদের আপত্তির কারণে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয়

কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা।

দায়িত্বে অবহেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাচ্চাসহ প্রসূতির মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

জাকিরুল ইসলাম বাবু,জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সের দায়িত্বে অবহেলায় পেটের সন্তানসহ ভাবনা আক্তার (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় আজ রোববার (২৫ মে) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাইনী চিকিৎসক ডা. সানজিদা তাবাসসুমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ভাবনা আক্তার মেলান্দহ পৌরসভার পশ্চিম জালালপুর এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহীমের স্ত্রী।

পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রসব বেদনায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত ভাবনা মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। দায়িত্বরত নার্স নারগিস বেগম তাঁকে ওটিতে নিয়ে প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহানা হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন।তবে মৃত্যুর পর ডা. ফারহানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী মো. রফিকুল ইসলাম হাসপাতালে উপস্থিত হন।

নিহতের স্বামী ইব্রাহীম বলেন, “ওটিতে নেওয়ার পর আমার স্ত্রী পানি চেয়েছিল, কিন্তু দেওয়া হয়নি। ছটফট করছিল, অথচ বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ রেখেই ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করা হয়। আমি বাইরে থেকে দেখেছি সে নড়াচড়া করছিল না তবুও তাকে অক্সিজেন লাগানো হয়নি আধাঘন্টা পর লাগাইছে। তাদের অবহেলার কারণেই আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমি দায়ীদের বিচার চাই।”

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ডা. ফারহানার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একইভাবে, হাসপাতালে গিয়েও পাওয়া যায়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গাজী মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলামকে।

তবে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইফুন্নাহার সানি বলেন, “জানা গেছে, রোগীর বাড়িতেই ঘরোয়া ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়েছিল, যা ব্যর্থ হয়। পরে হাসপাতালে আনা হলে রোগীর সিজারের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু স্বজনদের আপত্তির কারণে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”