
মিরসরাই প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার যুবদল নেতা মনজুর হোসেন সুমনের বাবা মাইনুদ্দিন লিটনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত অনুযায়ী, একদল দুর্বৃত্ত মাইনুদ্দিন লিটনকে তার নিজ বাড়ির গেটের সামনে থেকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে মেহেদীনগর বরষ্ট অফিসের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে একটি টিলার ভেতরে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। অপহরণকারীরা বলেন, ৫০ লাখ টাকা না দিলে হত্যা করে ফেলা হবে।
এরপর অপহরণকারীরা মাইনুদ্দিন লিটনের ছেলে, যুবদল নেতা মনজুর হোসেন সুমনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। ফোনে অপহৃত বাবা ছেলেকে বলেন, “বাবা, শান্ত থাকো। আমি টাকার ব্যবস্থা করছি।
মনজুর হোসেন সুমন দ্রুত জোরারগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করেন এবং ওসি সেলিমকে মোবাইল ট্র্যাক করতে বলেন। মোবাইল সিগন্যাল বন্ধ পাওয়া গেলে সন্দেহভাজন একটি নম্বর থেকে আবার কল আসে। সেই নম্বর ট্র্যাক করলে “হাসান” নাম উঠে আসে। পুলিশ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, অভিযুক্ত আরেকজন, জসিম নামে একজনকে স্থানীয় কমিশনার অফিসে হাজির করা হয়।
পরে যুবদল নেতা সুমনের ফোনে হাসান জানায়, আমি শাহ আমানত মার্কেটের তিনতলায় আছি। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে মাইনুদ্দিন লিটনকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারকালে দেখা যায়, অপহরণকারীরা মুক্তিপণের আগে মাইনুদ্দিন লিটনের কাছ থেকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে এবং একটি ব্যালান্স টানসিগনেচার কাগজে সই করিয়েছে।
তবে দুঃখজনকভাবে, জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ পুরো সিস্টেমিক পরিকল্পনাটি সঠিকভাবে উদ্ধার বা ব্যাখ্যা করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মনজুর হোসেন সুমন বলেন, “আমি প্রশাসনের কাছে আমার বাবার অপহরণকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই। যারা এমন জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তারা যেন আইনের আওতায় আসে।
এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।