, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬।

নাঈম হত্যাকান্ডে র‍্যাব সদস্য গ্রেফতার। 

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ৫৪ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

খুলনায় যুবক নাঈম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রানু বাবুকে গ্রেফতার করেছে। ২৫ মে রাত ৯ টার দিকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রানু বাবু খুলনা র‍্যাব-৬ এর সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন ৩ জন। র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবু খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- ২ এর বিচারক আল আমিনের কাছে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় সীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর পর তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন আদালত।স্থানীয়রা জানান, র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবু র সাথে টিকটকার নুসরাত আমিন সুমনার সাথে ৭ মাসের পরিচয় এসময়ের মধ্যে তাদের তাদের বন্ধুত্ত অনেক গভীরে চলে যায়। রানু বাবু প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটিয়ে ফিরে যেতেন। র‍্যাব সদস্য হওয়ায় সেদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সেদিন দুপুরে টিকটকার সুমনার বাড়িতে অবস্থান করে। বৃহস্পতিবার সন্ধার পর ফোন করে নাঈমকে ডেকে নেওয়া হয়। তার পরের দিন হাত পা বাধা অবস্থায় নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও র‍্যাব সদস্য রানু বাবুর ভয়ে কেউ পুলিশকে তার পরিচয় জানাতে পারেনি। নাঈম মোল্লা হত্যাকান্ডে সে জড়িত আছে বলে এই সুত্রটি জানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবনচরা থানার এস আই মো: আব্দুর রহিম বলেন, নাঈম হত্যা কান্ডের পর র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবু নওগাঁ চলে যায়। পরে তিনি ২৫ মে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।পরবর্তীতে থানা পুলিশ জানতে পেরে তাকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এ মামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। সেনিক রানু বাবু সেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে পরের দিন হাজির করা হয় এবং সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য শুক্রবার, ২৬ মে ভোর ৫ টার দিকে নগরীর শিপইয়ার্ড মেইন রোড সংলগ্ন মোশাররফের বাড়ির ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম হাত পা বাধা অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে লবনচরা থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে লাশের পরিচয় পায় পুলিশ। এঘটনায় নাঈমের পরিচিত টিকটকার সুমনা ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া রাতে হত্যাকান্ড সম্পর্কে মুখ খুলতে থাকে সুমনা। পরে এঘটনায় বাদী হয়ে লবনচরা থানার এস আই বেল্লাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা সীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় সীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে ২৫ মে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। সেও এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করার পর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরন করেন।

জনপ্রিয়

কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ।

নাঈম হত্যাকান্ডে র‍্যাব সদস্য গ্রেফতার। 

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

খুলনায় যুবক নাঈম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রানু বাবুকে গ্রেফতার করেছে। ২৫ মে রাত ৯ টার দিকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রানু বাবু খুলনা র‍্যাব-৬ এর সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন ৩ জন। র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবু খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- ২ এর বিচারক আল আমিনের কাছে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় সীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এর পর তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন আদালত।স্থানীয়রা জানান, র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবু র সাথে টিকটকার নুসরাত আমিন সুমনার সাথে ৭ মাসের পরিচয় এসময়ের মধ্যে তাদের তাদের বন্ধুত্ত অনেক গভীরে চলে যায়। রানু বাবু প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটিয়ে ফিরে যেতেন। র‍্যাব সদস্য হওয়ায় সেদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সেদিন দুপুরে টিকটকার সুমনার বাড়িতে অবস্থান করে। বৃহস্পতিবার সন্ধার পর ফোন করে নাঈমকে ডেকে নেওয়া হয়। তার পরের দিন হাত পা বাধা অবস্থায় নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও র‍্যাব সদস্য রানু বাবুর ভয়ে কেউ পুলিশকে তার পরিচয় জানাতে পারেনি। নাঈম মোল্লা হত্যাকান্ডে সে জড়িত আছে বলে এই সুত্রটি জানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবনচরা থানার এস আই মো: আব্দুর রহিম বলেন, নাঈম হত্যা কান্ডের পর র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবু নওগাঁ চলে যায়। পরে তিনি ২৫ মে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।পরবর্তীতে থানা পুলিশ জানতে পেরে তাকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এ মামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। সেনিক রানু বাবু সেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে পরের দিন হাজির করা হয় এবং সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য শুক্রবার, ২৬ মে ভোর ৫ টার দিকে নগরীর শিপইয়ার্ড মেইন রোড সংলগ্ন মোশাররফের বাড়ির ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম হাত পা বাধা অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে লবনচরা থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে লাশের পরিচয় পায় পুলিশ। এঘটনায় নাঈমের পরিচিত টিকটকার সুমনা ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া রাতে হত্যাকান্ড সম্পর্কে মুখ খুলতে থাকে সুমনা। পরে এঘটনায় বাদী হয়ে লবনচরা থানার এস আই বেল্লাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা সীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় সীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে ২৫ মে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি র‍্যাবের সৈনিক রানু বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। সেও এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করার পর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরন করেন।