কাপ্তাই থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রজাতির দেশি মাছ , কাপ্তাই লেকে মাছ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ পোনা ও মা মাছ নিধন কাপ্তাই লেক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে রুই জাতীয় মাছ পক্ষান্তরে বাড়ছে চাপিলা ও মলার মত ছোট মাছ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে ১৯৯৬ সালে কাপ্তাই লেগে পাওয়া রুই - জাতীয় মাছের হার ছিল ৮১ শতাংশ , ২০১৬ সালে এই হার ৪ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে । ১৯৬৬ সালে লেকে উৎপাদিত মাছের মধ্যে ছোট মাছের হার ছিল মাত্র ৮ শতাংশ ২০১৬ সালে এই হার দাড়িয়েছে ৯২ শতাংশ । রুই - জাতীয় মাছ অর্থাৎ রুই মৃগেলই ছিল কাপ্তাই লেকের প্রাণ আর এই মাছগুলোই দিনে দিনে কমে যাচ্ছে লেক থেকে গবেষণায় ২০০৩ সালে মাছ উৎপাদনের চিত্রে তুলে ধরে বলা হয়। ওই বছর লেকে মাছ উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৬৬ মেট্রিকটন এর মধ্যে রুই - জাতীয় ওই তিনটি মাছের উৎপাদন ছিল ১১৯ মেট্রিক টন ১৩ বছরের ব্যবধানে ২০১৬ সালে এসে মাছের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হলও রুই - জাতীয় মাছের উৎপাদনে একেবারে কমে গেছে ওই অর্থবছরে লেকের মাছের উৎপাদন হয়েছিল ৯ হাজার ৩৮৪ মেট্রিক টন এর মধ্যে রুই জাতীয় এই তিনটি মাছের উৎপাদন ছিল মাত্র ৫ মেট্রিক টন কাপ্তাই লেকের প্রধান চারটি ( কাচালং চ্যানেল, বরকল চ্যানেল চেঙ্গিং চ্যানেল ও রীংবাং চ্যানেল নষ্ট হয়ে গেছে । শুধু রুই - জাতীয় মাছ নয়, অন্য বেশ কিছু মাছও কমে যাচ্ছে লেক থেকে
ইতিমধ্যে লেক থেকে বিলুপ্ত হয়েছে দেশি সরপুঁটি , ঘাউরা , মোহিনী বাটা ও পাঙাশ প্রজাতির মাছ । আর বিপন্ন প্রায় মাছের মধ্যে রয়েছে দেশি মহাশোল, মধুপাবদা , পোয়া, ফাইশ্যা, গুলশা ও সাদা ঘনিয়া ক্রমহ্রাসমান মাছের মধ্যে রুই কাতলা মৃগেল পাবদা বড় চিতল অন্যতম বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গবেষণার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এ হ্রদে ২ প্রজাতির চিংড়ি, ২ প্রজাতির কচ্ছপ সহ মোট ৭৫ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ রয়েছে। কাপ্তাই লেকে মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম সমস্যা জেলেদের অসতর্কমূলক কাজের জন্য কারণ তাদের যখন মাছ ধরার সময় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় । তখন সেই নিয়ম তারা মানতে চায় না । তারা মা মাছ ধরে ফেলে এবং সে মা মাছ বংশ বিস্তার করতে পারে না । আমাদের জেলে ভাইয়েরা যদি এ নিষেধাজ্ঞাটা সঠিকভাবে মেনে চলত
কাপ্তাই লেকে আগের মতো মাছ থাকতো। যখন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় । তখন অনেক কাজ থাকে ধান কাটার কাছ থাকে তারা এক দিন কাজ করলে ৭০০ টাকা পাচ্ছে। অন্যদিকে জেলেদের সরকার এই বন্ধের সময় অনেক সহযোগিতা করে । তারপরও তারা মা মাছ নিধন করে
তারা যদি ধৈর্য ধরত তাহলে তার অনেক লাভবান হত । যারা মাছ ধরবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক ।
মোঃ নাজমুল হোসাইন শাওন
শিক্ষার্থী সিযক কলেজ রাঙামাটি
উপজেলা : লংগদু
জেলাঃ রাঙামাটি
মোবাইল : ০১৬৩৮০৬৭১৩৩