মোফাজ্জল হোসেন ,ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সদ্য ভূমিষ্ট সন্তানকে দেখতে এসে আর এক সন্তানের লাশ দেখতে হলো বাবা ইসরাফিলের। সন্তান প্রসবের জন্য মা এসেছিল বাবার বাসায়। সাথে করে নিয়ে আসে সাত বছরের শিশু মিম আক্তারকে। সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া ছেলে সন্তানকে দেখতে আসে বাবা। ছেলেকে দেখা শেষে বাবা সাথে করে নিয়ে যেতে চায় মেয়ে নিলিফা আক্তার মিম কে। মিম আরও কয়েক দিন থাকবে বলে বাবার কাছে বায়না ধরে। বাবা মেয়ের বায়না মেনে নিয়ে চলে যায়। তারপর নানা বাড়ির পাশে এক পুকুরে গোসল করতে নামে মিমসহ সমবয়সী কয়েকজন শিশু। সাঁতার না জানায় মিমসহ আট বছরের আরেক শিশু কারিমা আক্তার পানিতে ডুবে যায়। শিশু কারিমা বেঁচে ফিরলেও মিম আক্তারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
শনিবার (৩১ মে) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের চাটশাল বিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সম্পর্কে ওই দুই শিশু খাল ও ভাগনি।
নিহত নিলিফা আক্তার মিম বিরামপুর উপজেলার বড় গোপালপুর এলাকার ইসরাফিলের মেয়ে। নিহত মিম এলাকার বড় গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীতে পড়া লেখা করতো। পানিতে ডুবে অসুস্থ কারিমা আক্তার উপজেলার চাটশাল গ্রামের শফিকুরের মেয়ে।
নিহত মিমের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ দুপুরে কয়েকজন শিশু খেলছিল। খেলতে খেলতে তারা ওই শিশুর নানা বাড়ির পূর্ব দিকে ১০০ গজ দূরে একটি পুকুরে নামে। পরে সেখানে থাকা আরেক শিশু ওই জনকে পুকুরে ডুবতে দেখে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে পুকুরে নামেন। এসময় শিশু মিম কে মৃত এবং কারিমাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে।
কারিমাকে মূমুর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে তার জ্ঞান ফিরে আসে। বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, পানিতে ডুবে নিলিফা আক্তার মিম নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মিমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।