মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মোকামপুর খেয়া ঘাটে অনিয়ম অব্যাবস্থাপনা সহ নানা বিধ উপেক্ষার অভিযোগ উঠেছে। ঘাট পরিচালনায় সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং খেয়াঘাটকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর পক্ষে মো: মঞ্জুর আলী খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে মোকামপুর খেয়াঘাটটি মাঝি হিসেবে পরিচালনা করছিলেন। তবে গত দুই বছর ধরে গালিভার সামারী ও হুমায়ুন কবীর মোল্লা নামের দুজন ব্যক্তি ডাকের মাধ্যমে ঘাট পরিচালনা করছেন। বর্তমানে ঘাটটি সরকারি খাস হিসেবে ব্যবহ্নত হলেও পেশিশক্তির মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগে আরো বলা হয়, এ অবস্থার ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয় বাসিন্দা ওসমান গনি মুন্সি মো: হানিফ ফকির ও মাহফুজ সানা অভিযোগ করেন, ঘাটে খাস কালেকশনের নামে চলছে প্রকাশ্য লুটপাট। সরকারি কোষাগারে নামমাত্র অর্থ জমা দিয়ে বাকি টাকা সিন্ডিকেট সদস্যরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, বারাসাত ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা তার পছন্দের লোকজনকে ঘাটের খাস আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছেন, যা সরাসরি সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী। অভিযোগকারী মঞ্জুর আলীর মতে ঘাটে আদায়কৃত খাস রাজস্ব কোথায় যায় তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি চলছে গোপনে। ফলে সরকারের প্রকৃত রাজস্ব আদায় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুত্রে জানা্যায়, মোকামপুর খেয়াঘাটটি গত ২০২৩ সালে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ২০২৪ সালে ১১ লাখ টাকা ইজারা হয়েছিল। চলতি বছরে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ডাক হয়, তবে ইজারা কার্যকর হয়নি। এরপও বারাসাত ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা শেখ মো: অহিদুল ইসলাম খাস আদায়ের জন্য অফিস সহকারি নাজমুল হাসান ও স্থানীয় মাফিজুর রহমানকে দায়িত্ব দেন।এনিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। ঘাট থেকে গত মাসে ৪০ হাজার টাকা খাস আদায় হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ভুমি কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে ঘাট থেকে সরকারি রাজস্ব খাতের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, ফলে রাজস্ব খাতের বড় অংশ ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে বারাসাত ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা শেখ অহিদুল ইসলাম বলেন, ঘাটটি নিয়ে আমরা অনেক বিপদের মধ্যে আছি। ইজারা না হলেও আমার দায়িত্ব খাস আদায় করা। আমি সব সময় উপস্থিত থাকতে পারি না, নিয়ম মেনে অফিস সহকারি ও একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খুব শীর্ষই সমস্যার সমাধান হবে। এবিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভুমি) আঁখি শেখ বলেন, সরকারি নিয়মের বাহিরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। অনিয়ম প্রমানিত হলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।