, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে মাদরাসা গুলোতে শিশু নির্যাতনে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। 

  • প্রকাশের সময় : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • ৮১ পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে মাদ্রাসাগুলোতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন ও বলাৎকারের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটনা এতটাই ভয়াবহ যে, শিশুদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। তবে, অধিকাংশ ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায় এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হয়। অনেক বার তা নিশ্চিত করেছে বেশে কিছু গণমাধ্যম, এবং বিভিন্ন সংস্থা গুলো।

বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে সরকারের তেমন কোনো তদারকি নেই, যার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদের অভিযোগ জানানোর জন্য কোনো নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম বা কমিটি নেই, যা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের উচিত কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধন ও তদারকির আওতায় নিয়ে আসা, যাতে এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, শিশুদের জন্য অভিযোগ জানানোর সহজ এবং নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ওপর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। শুধু আইন প্রণয়ন নয়, তার যথাযথ বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে।

শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শুধু সরকারের নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদেরও সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।

গোলাম কিবরিয়া ফারাজ

দীঘিনালা. খাগড়াছড়ি

জনপ্রিয়

বাংলাদেশে মাদরাসা গুলোতে শিশু নির্যাতনে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। 

প্রকাশের সময় : ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশে মাদ্রাসাগুলোতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন ও বলাৎকারের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটনা এতটাই ভয়াবহ যে, শিশুদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। তবে, অধিকাংশ ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায় এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হয়। অনেক বার তা নিশ্চিত করেছে বেশে কিছু গণমাধ্যম, এবং বিভিন্ন সংস্থা গুলো।

বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে সরকারের তেমন কোনো তদারকি নেই, যার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদের অভিযোগ জানানোর জন্য কোনো নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম বা কমিটি নেই, যা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের উচিত কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধন ও তদারকির আওতায় নিয়ে আসা, যাতে এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, শিশুদের জন্য অভিযোগ জানানোর সহজ এবং নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ওপর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। শুধু আইন প্রণয়ন নয়, তার যথাযথ বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে।

শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শুধু সরকারের নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদেরও সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।

গোলাম কিবরিয়া ফারাজ

দীঘিনালা. খাগড়াছড়ি