মোঃ নাজমুল হোসাইন শাওন, লংগদু, প্রতিনিধি রাঙামাটি;
বর্তমান সময়ে দশ হাজার টাকা দিয়ে কিছুই হয় না শহরে বাসা ভাড়া , খাবার খরচ , সন্তানের লেখাপড়া , চিকিৎসা খরচ , নিজের খরচ সব মিলিয়ে
বিশ হাজার টাকার উপরে লাগে। আর এই গার্মেন্টস শ্রমিকরা আট হাজার / দশ হাজার টাকা দিয়ে মানিয়ে নেই নিজেদের , এই মানুষগুলো ঠিকমতো বেতন পায় না । তাহলে তারা কিভাবে চলবে । এ বোনটি চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না । গার্মেন্টসের মালিকের কাছে টাকা নেই । কিন্তু গার্মেন্টসের মালিক যখন কোটি টাকার গাড়ি কিনে , কোটি টাকার বাড়ি কিনে , কোটি টাকার জায়গা জমি কিনে , তখন অভাব পড়ে না । তারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা বিল করে খাবারের তখন তাদের অভাব হয় না । তারা যখন বিদেশে ঘুরতে যায় তখন অভাব হয় না। শুধু অভাব হয় যখন এই অসহায় , মানুষগুলো নিজের বেতনের টাকা চায় । গার্মেন্টসের মালিকের সন্তান - স্ত্রী, এবং নিজে যখন ঈদে ৭ লক্ষ টাকার মার্কেট করেন তখন অভাব পড়ে না । আর এই গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এত কষ্ট করার পরও ঈদে নিজের সন্তানকে জামা কিনে দিতে পারে না।
তাদের ঈদের আগে আন্দোলন করতে হয় বেতন আর বোনাসের জন্য কেন তাদের আন্দোলন করতে হবে । তার এত পরিশ্রম করতেছে তারা তো তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে না । তারা তাদের পরিশ্রমের টাকা চাচ্ছে । এ বোনটি বলছে আমি চার মাস ধরে বেতন পাই না । আমার ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা আছে তাদের কি? কিনা দিমু , তাদের কি? বলমু , যে মানুষগুলো পেটের দায়ে চাকরি করছে তাদেরকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন । আপনাদের লজ্জা থাকার উচিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় ভূমিকা পালন করে।
** প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা
** গার্মেন্টসের শ্রমিক
** কৃষক
** কিন্তু তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয় না ।
** উনারা হচ্ছেন আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ
মোঃ নাজমুল হোসাইন শাওন
লংগদু, প্রতিনিধি রাঙামাটি