
মোঃ রবিউল হোসেন খান,খুলনা ব্যুরো :
খুলনা জেলা আইন শৃংখলা কমিটির জুন মাসের সভা সকালে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তার সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খুমেক হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ২০ শয্যা প্রস্তুত, ময়ুর নদের ওপর গল্লামারী ব্রিজের কাজ শেষ করা, সোনাডাঙ্গা বাইপাসের সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, আসন্ন ঈদের সময় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সাভাবিক করা, সুন্দরবন কেন্দ্রীক দস্যুতা বন্ধ করা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন জানান, খুলনার জিরো পয়েন্ট হতে ডুমুরিয়া সড়কের ভাঙাচোরা অংশগুলো দুর্ঘটনার কারন হতে পারে। ঈদের সময় এ সড়কে যান চলাচলের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা নিতে হবে। প্রয়োজনে রেকার সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখতে হবে। কোরবানীর পশুর হাট গুলোর গরু ব্যবসায়ী অথবা ঈদের সময় বড় অংকের টাকা পরিবহনের ক্ষেত্রে ঝুকি কমাতে পুলিশি প্রহরা গ্রহনের বিষয়টি সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। খুলনায় কোনভাবেই যেন মব সংস্কৃতি স্থান না পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( দক্ষিন) মো: হুমায়ুন কবীর জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে জাল টাকার বিস্তার বন্ধে মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি অভিযানে ৫ লাখ এবং এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার জাল নোট আটক করা হয়। কোরবানীর হাট গুলোয় জাল টাকা সনাক্তের ব্যবস্থা থাকবে। নগরীতে ছিনতাই বন্ধে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবং কয়েকটি ছিনতাইকারী চক্রকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: রফিকুল ইসলাম গাজী সভায় জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার পার্শবর্তী দেশেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে
পরিস্থিতি বিচেচনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ২০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। সভাপতির বক্তব্য জেলা প্রশাসক বলেন, আসন্ন কোরবানীর ঈদের সময় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইতিমধ্যে যে সকল গরুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার বাহিরে নতুন করে কোন হাটের অনুমতি দেওয়া হবে না। হাটের সংখ্যা খুব বেশি হলে ক্রেতারা বিভ্রান্ত হন, গরুর মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঈদের ছুটিতে জরুরি সেবা প্রদানকারী দপ্তর গুলোর সেবা যেন বিঘ্নিত না হয় যেদিকে নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপংকর দাস সভায় বিগত মাসের খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইন শৃংখলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলায় মে মাসে রাহাজানি ১ টি, চুরি ২১ টি, খুন ৫ টি, অস্ত্র আইনে ৪ টি ধর্ষন ৮ টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৩ টি, মাদক দ্রব্য বিষয়ক ৩৭ টি এবং অন্যান্য ৬০ টি সহ মোট ১৪৯ টি মামলা হয়েছে। যা বিগত এপ্রিল মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৫ টি কম। মহানগরে মে মাসে ডাকাতি ১ টি, চুরি ১০ টি, খুন ৫ টি, অস্ত্র আইনে ১ টি, দ্রুত বিচার দুটি, ধর্ষন ৫ টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১০ টি, মাদকদ্রব্য বিষয়ক ৯২ টি, এবং অন্যান্য ৪৯ টি সহ মোট ১৭৫ টি মামলা হয়েছে। যা বিগত এপ্রিল মাসের চেয়ে ২০ টি বেশি। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।