কেন্দুয়া প্রতিনিধি:কেন্দুয়ায় এক শোকাবহ ঘটনায় স্থানীয় মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রী সাত মাস গর্ভবতী হওয়ার পর পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল শনিবার মেয়েটির বাবা কেন্দুয়া থানায় এই মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামী আশরাফুল ইসলাম সজিব (২৭) একজন প্রবাসী।
সে বৈরাটি গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলাম। ওই অন্য অভিযুক্তরা হলো সজিবের মা,দুই ভাই, বড় ভাইয়ের স্ত্রী। প্রধান আসামী ভিকটিমের সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
এঘটনাটি গত বছর ৩০ ডিসেম্বর রাতে নির্যাতিত কিশোরীর বসতঘরে ঘটে। বিষয়টি এতোদিন ঘরোয়া ভাবে সীমাবদ্ধ
থাকলেও গত সপ্তাহে প্রকাশে আসে।
নির্যাতিত কিশোরী বাবার দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিবাদীগন তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ হয়। তার নির্যাতিত মেয়ে (১৩) স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী। ঘটনার দিন তিনি বাড়ীতে ছিলেন না।
ঘটনার দিন কৌশলে মামলার প্রধান আসামী সজিব (২৭) ঘরে ঢুকে প্রবেশ করে অস্ত্রে মূখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভয়ভীতির কারণে বিষয়টি ওই কিশোরী প্রথমে কাউকে বলেনি। পরে শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং ঘরোয়া ভাবে মিটমাটের চেষ্টা চলে।
অবস্থা বেগতিক দেখে কিছুদিন পূর্বে প্রধান আসামী বিদেশে পারিজমান। পরে ওই কিশোরীর বাবা কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে আসামীদের ধরতে কয়েক দফা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধান আসামী বিদেশ থাকার বিষয়টি অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।