সমাজ কি এগোচ্ছে, নাকি গোপন অন্যায় আর প্রভাবশালীদের হাত ধরে পিছিয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কেন্দুয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
একটি প্রেম কিছু অভিযোগ, আর সেই প্রেমের দোহাই দিয়ে তছনছ হয়ে যাওয়া একটি তরুণীর ভবিষ্যৎ এই পুরো ঘটনাটিকে সংবাদমাধ্যমে তুলে এনেছেন কেন্দুয়ার প্রগতিশীল সাংবাদিক আশরাফ ইলিয়াস।
জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের বড় কালিয়ান গ্রামে গভীর রাতে এক তরুণী এবং সেনা সদস্য এক যুবককে অনৈতিক অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত যুবক মাহমুদুল হাসান লিংকন যিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা।
ঘটনার সূত্রপাত ৬ জুলাই রাতের একটি ভালোবাসা সাক্ষাতে। তরুণীর নিজ বাড়িতে এসে লিংকন দেখা করেন তার তিন বছরের সম্পর্কের সঙ্গীর সঙ্গে। কিন্তু এই সাক্ষাৎ গোপন থাকেনি। এলাকার কিছু মানুষ আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ফেললে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সাংবাদিক আশরাফ ইলিয়াসের তথ্যসূত্র অনুযায়ী, এরপর কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আজিজুল, আনু মিয়া, নুর মিয়া, কামাল, জব্বার ও সোহাগ মিয়া ঘটনাটিকে ঘরোয়া সমাধান করার নামে যুবককে একটি নিরিবিলি স্থানে সরিয়ে নেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
তরুণীর অভিযোগ প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লিংকন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। ঘটনাটি জানার পরেও গ্রাম্য মাতব্বররা তার মতামত বা সম্মতি ছাড়াই সমঝোতা করে ফেলেন। এখন সেই তরুণী বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
তার ভাষায়,
আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবহার করেছে, এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমি যতক্ষণ না তার সঙ্গে আমার বিয়ে হচ্ছে, ততক্ষণ ছেলের বাড়িতে অবস্থান করবো। আমার কিছু হলে মাতব্বর ও ছেলের পরিবার দায়ী থাকবে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাবশালীদের সঙ্গে কথা বললে অনেকে দায় অস্বীকার করেন। কেউ বলেন তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না কেউ জানান ঘটনা সম্পর্কে জানেন না।
তবে এলাকাবাসীর বড় একটি অংশ বলছেন, পুরো ঘটনার প্রেক্ষাপটে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে
অর্থের বিনিময়ে আপস করা অন্যায়ের উৎসাহ, এবং বিচারের প্রতি চরম অসম্মান।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন,
এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজুয়ান হাসান জয়, নেত্রকোনা প্রতিনিধি।
মোবাইল:০১৭৭০৬৪৭০৯৫