, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬। কেন্দুয়ায় নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীম এর পরিবারের পাশে ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী। খুলনার দৌলতপুরে যুবদল নেতাকে গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা।  মদনে নৈশ প্রহরীকে ছাতার আঘাতে হত্যা।  ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা সাখার ওসি ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের সফলতা। সাংবাদিকতার মুখোশে চাঁদাবাজি ও লুটপাট! হাটহাজারী প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আমতলীতে নাবালিকাকে অপহরণ, আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

অভিযানে গিয়েও অভিযোগে পুলিশ। আটপাড়ায় লাখ টাকার লুটপাট প্রশ্নবিদ্ধ করলো থানার আচরণ।

 

                আটপাড়া থানা। সাম্যবাদী নিউজ

 

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযানের আড়ালে নগদ টাকা লোপাট এর অভিযোগ উঠে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, জুয়ার আসর থেকে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হলেও, থানায় তা দেখানো হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪৯০ টাকা।

ঘটনাটি ঘটে গত রোববার। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাঁচ ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে তাস খেলছিলেন। হঠাৎ করে হাজির হন আটপাড়া থানার এসআই আল মামুন ও এএসআই মশিউর রহমান সুজনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। জুয়ার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়, এবং ঘটনাস্থল থেকে মোটা অঙ্কের টাকা জব্দ করার কথা জানালেও অভিযোগ উঠেছে থানায় গিয়ে সেই টাকার অধিকাংশই উধাও।

ভুক্তভোগী হায়দার মিয়া বলেন, আমার কাছে ছিল ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা। পুলিশ তা নিয়ে যায়, অথচ কাগজে লিখে মাত্র ১ হাজার ৪৯০ টাকা। অভিযোগ জানানোর পর উল্টো হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

আরেকজন সাফায়েত হোসেন বলেন, আমার পকেটে ছিল ১২ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশ ভিডিও করার আগে সেটা নিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করলেই বড় মামলার ভয় দেখানো হয়েছে।

সাক্ষী নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। একজন স্বাক্ষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ডেকে তুলে শুধু সই নিতে বলা হয়। কী ঘটেছিল কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে এসআই আল মামুন দাবি করেন, যা উদ্ধার করেছি, সেটাই দেখানো হয়েছে। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তবে পুলিশ সুপার মীর্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। সত্যতা মিললে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় মিথ্যা অভিযোগের জন্য অভিযোগকারীকে জবাবদিহি করতে হবে।

এমন ঘটনায় থানার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, স্থানীয়রা স্বচ্ছ তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন।

 

রিপোর্ট: রেজুয়ান হাসান জয় | নেত্রকোনা

মোবাইল: ০১৭৭০৬৪৭০৯৫

জনপ্রিয়

আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!!

অভিযানে গিয়েও অভিযোগে পুলিশ। আটপাড়ায় লাখ টাকার লুটপাট প্রশ্নবিদ্ধ করলো থানার আচরণ।

প্রকাশের সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

 

                আটপাড়া থানা। সাম্যবাদী নিউজ

 

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযানের আড়ালে নগদ টাকা লোপাট এর অভিযোগ উঠে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, জুয়ার আসর থেকে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হলেও, থানায় তা দেখানো হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪৯০ টাকা।

ঘটনাটি ঘটে গত রোববার। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাঁচ ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে তাস খেলছিলেন। হঠাৎ করে হাজির হন আটপাড়া থানার এসআই আল মামুন ও এএসআই মশিউর রহমান সুজনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। জুয়ার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়, এবং ঘটনাস্থল থেকে মোটা অঙ্কের টাকা জব্দ করার কথা জানালেও অভিযোগ উঠেছে থানায় গিয়ে সেই টাকার অধিকাংশই উধাও।

ভুক্তভোগী হায়দার মিয়া বলেন, আমার কাছে ছিল ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা। পুলিশ তা নিয়ে যায়, অথচ কাগজে লিখে মাত্র ১ হাজার ৪৯০ টাকা। অভিযোগ জানানোর পর উল্টো হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

আরেকজন সাফায়েত হোসেন বলেন, আমার পকেটে ছিল ১২ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশ ভিডিও করার আগে সেটা নিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করলেই বড় মামলার ভয় দেখানো হয়েছে।

সাক্ষী নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। একজন স্বাক্ষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ডেকে তুলে শুধু সই নিতে বলা হয়। কী ঘটেছিল কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে এসআই আল মামুন দাবি করেন, যা উদ্ধার করেছি, সেটাই দেখানো হয়েছে। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তবে পুলিশ সুপার মীর্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। সত্যতা মিললে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় মিথ্যা অভিযোগের জন্য অভিযোগকারীকে জবাবদিহি করতে হবে।

এমন ঘটনায় থানার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, স্থানীয়রা স্বচ্ছ তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন।

 

রিপোর্ট: রেজুয়ান হাসান জয় | নেত্রকোনা

মোবাইল: ০১৭৭০৬৪৭০৯৫