, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬। কেন্দুয়ায় নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীম এর পরিবারের পাশে ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী। খুলনার দৌলতপুরে যুবদল নেতাকে গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা।  মদনে নৈশ প্রহরীকে ছাতার আঘাতে হত্যা।  ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা সাখার ওসি ইনচার্জ সহিদুল ইসলামের সফলতা। সাংবাদিকতার মুখোশে চাঁদাবাজি ও লুটপাট! হাটহাজারী প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আমতলীতে নাবালিকাকে অপহরণ, আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

আমতলীতে নাবালিকাকে অপহরণ, আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • ২২ পড়া হয়েছে

মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

মায়ের সাথে মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে দুই দুর্বৃত্ত্ব কর্তৃক অপহৃত হয়েছে এক নাবালিকা।

গত ৭দিনে খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী নাবালিকার মা।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হলেন, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাব্বি (২৫) ও তার বন্ধু সোহাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পিপি অ্যাডঃ রনজুয়ারা সিপু।

মামলা থেকে জানা যায়, বাদি তার অপহৃতা নাবালিকা মেয়েকে সাথে নিয়ে খুলনা থেকে ১লা জুলাই আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামে তার ভাই জুয়েলের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। জুয়েলের প্রতিবেশি রাব্বি বাদির নাবালিকা মেয়েকে দেখে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি মেয়ে তার মায়ের নিকট বলে দেয়। বাদি রাব্বিকে ডেকে তার মেয়েকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করলে এতে রাব্বি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

এরপর গত ৩ জুলাই সকাল অনুমান ১১টার দিকে বাদির নাবালিকা মেয়ে মামা বাড়ির পাশে একটি দোকানে মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে গেলে রাব্বি ও তার বন্ধু সোহাগ দেখতে পায়। ওই সময় বাদির মেয়েকে খুনের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

বাদি বলেন, রাব্বি আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমার নাবালিকা মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চায়। ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসছি। অপহরণের ৭ দিনেও আমার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাইনি। আমার মেয়ে রাব্বির কাছেই আছে। আমার ধারণা সোহাগের সহায়তায় রাব্বি আমার মেয়েকে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। এমনও হতে পারে আসামীরা আমার নাবালিকা মেয়েকে খুন করে লাশ লুকিয়ে রাখতে পারে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও আমি জানি না। আমার মেয়ের খোঁজ না পেয়ে আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। তাই আজ আদালতে মামলা করেছি। 

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই বিষয়ে থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। 

মামলার আসামী রাব্বি ও সোহাগের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জনপ্রিয়

আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!!

আমতলীতে নাবালিকাকে অপহরণ, আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা!

প্রকাশের সময় : ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

মাইনুল ইসলাম রাজু, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

মায়ের সাথে মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে দুই দুর্বৃত্ত্ব কর্তৃক অপহৃত হয়েছে এক নাবালিকা।

গত ৭দিনে খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী নাবালিকার মা।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হলেন, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাব্বি (২৫) ও তার বন্ধু সোহাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পিপি অ্যাডঃ রনজুয়ারা সিপু।

মামলা থেকে জানা যায়, বাদি তার অপহৃতা নাবালিকা মেয়েকে সাথে নিয়ে খুলনা থেকে ১লা জুলাই আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামে তার ভাই জুয়েলের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। জুয়েলের প্রতিবেশি রাব্বি বাদির নাবালিকা মেয়েকে দেখে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি মেয়ে তার মায়ের নিকট বলে দেয়। বাদি রাব্বিকে ডেকে তার মেয়েকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করলে এতে রাব্বি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

এরপর গত ৩ জুলাই সকাল অনুমান ১১টার দিকে বাদির নাবালিকা মেয়ে মামা বাড়ির পাশে একটি দোকানে মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে গেলে রাব্বি ও তার বন্ধু সোহাগ দেখতে পায়। ওই সময় বাদির মেয়েকে খুনের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

বাদি বলেন, রাব্বি আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমার নাবালিকা মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চায়। ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসছি। অপহরণের ৭ দিনেও আমার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাইনি। আমার মেয়ে রাব্বির কাছেই আছে। আমার ধারণা সোহাগের সহায়তায় রাব্বি আমার মেয়েকে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। এমনও হতে পারে আসামীরা আমার নাবালিকা মেয়েকে খুন করে লাশ লুকিয়ে রাখতে পারে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও আমি জানি না। আমার মেয়ের খোঁজ না পেয়ে আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। তাই আজ আদালতে মামলা করেছি। 

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই বিষয়ে থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। 

মামলার আসামী রাব্বি ও সোহাগের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।