
রেজুয়ান হাসান জয়, মিডিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক সাম্যবাদী;
গোপালগঞ্জে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। ১৬ জুলাই (বুধবার) রাত ৮টা থেকে ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৬টা পর্যন্ত টানা ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এনসিপির সভা শেষে গাড়িবহর ফেরার পথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যরা গাড়িবহরে হামলা চালায়। মুহূর্তেই গোটা এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায়। পাল্টা প্রতিরোধে পড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যানবাহনও হামলার শিকার হয়। সংঘর্ষের পর এনসিপির শীর্ষ নেতারা নিরাপত্তার খোঁজে সরকারি দপ্তরগুলোতে আশ্রয় নেন, যেখান থেকে পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে পৌরপার্কে আয়োজিত সমাবেশে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রথম ধাক্কা আসে। ভাঙচুর করা হয় সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার, ও মঞ্চসজ্জা। আহত হন বেশ কয়েকজন এনসিপি কর্মী।
বর্তমানে পুরো গোপালগঞ্জজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল অব্যাহত রেখেছে। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে পুরো দেশ।