, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১নং রাজারগাঁও উঃ ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের মেনাপুর বাজার হইতে ডিঙ্গাভাঙ্গা সড়কের বেহাল দশা। আমতলীতে ২৭জন প্রতিবন্ধী শিশু পেল হুইল চেয়ার। গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে গুপ্ত । ডুমুরিয়া সহ বিলডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী গেটের পলি অপসারন শুরু।  কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র বর্ধিত সভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ আনোয়ারুল হক। তালা উপশহর থেকে যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামী রায়হান গ্রেফতার।  মাদক ব্যবসায়ী ২জন ৭৭০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার।  হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসুচি।  ইমরান খানের প্রাক্তন এবার প্রতিষ্ঠাতা নতুন পথে রেহাম খান। নীলফামারী জেলা  বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত।আহবায়ক কমিটি ঘোষনা 

ডুমুরিয়া সহ বিলডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী গেটের পলি অপসারন শুরু। 

  • প্রকাশের সময় : ৫ ঘন্টা আগে
  • ৩৭ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

ডুমুরিয়া সহ বিলডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী রেগুলেটরের মুখে পলি অপসারনের কাজ শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুটি ” লং ভুম ভেকু ” দিয়ে গেটের মুখে পলি অপসারনের কাজ শুরু করেছে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।জানাযায়, একসময়ের প্রবল খরস্রোতা নদীর অস্তিত্ত্ব বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। পলি ভরাট হয়ে প্রায় সমতল ভুমিতে রুপ নিয়েছে। নদীর সাথে সংযুক্ত, অধিকাংশ স্লুইস গেটের জলকপাট বন্ধ হয়েগেছে। যার ফলে এ নদী সম্পর্কিত ডুমুরিয়া ও বটিঘাটা এলাকায় জলাবদ্ধতা যেন নিত্য দিনের সাথী হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে আবারো জলাবদ্ধতার ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রকৃতি। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাই রেগুলেটরের জলকপাট চালু করার লক্ষ্যে পানি অপসারনের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জি এম আমানউল্লাহ জানান, গেটের মুখে পলি অপসারনের কাজ আরো আগে করার প্রয়োজন ছিল তাহলে জলাবদ্ধতার হুমকিতে পড়তে হতো না। যদিও শেলমারি রেগুলেটরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি পাম্প চালু হয়েছে প্রায় দেড়মাস আগে। কিন্তু বৃহৎ এ অঞ্চলের পানি নিস্কাশন পাম্প দিয়ে সম্ভব না। প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করাটা খুবই কঠিন। অতিদ্রুত গেটের জলকপাট চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে শ্রাবনে ভারী বৃষ্টিপাত হলে এই অঞ্চল ভেসে যাবে। ইতিমধ্যে রংপুর, খর্নিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কুমার রায় জানান, যখন থেকে পাম্প চালু হয়েছে, তখন থেকে পানি অপসারনের কাজ করতে হতো। তাহলে পাম্পের পানির স্রোতে পলি কেটে নদীর গভীরতা তৈরি হতো। কিন্তু এখন বর্ষার সময় দ্রুত গেট সচল করতে না পারলে নিন্মাঞ্চল আবারো তলিয়ে যাবে। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি আতিকুর রহমান জানান, ডুমুরিয়া সহ বিলাডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৫ কিউসেকের দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প সর্বদা চালু রয়েছে। তাছাড়া গেটের মুখে ভরাটকৃত পানি অপসারনের জন্য ” দুটি লং বুম স্কাবেটর” দিয়ে এখন কাজ শুরু করা হয়েছে। দু একদিনের মধ্যে ভাসমান স্কাবেটর আসবে। পলি অপসারন হলে গেটের জলকপাট খুলে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেছেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের ” শৈলমারী নদী খনন” প্রকল্পটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে শৈলমারী রেগুলেটরে আরো ৩ টি এবং রামদিয়া রেগুলেটরে ২ টি একই ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বরাদ্দ রয়েছে।

জনপ্রিয়

১নং রাজারগাঁও উঃ ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের মেনাপুর বাজার হইতে ডিঙ্গাভাঙ্গা সড়কের বেহাল দশা।

ডুমুরিয়া সহ বিলডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী গেটের পলি অপসারন শুরু। 

প্রকাশের সময় : ৫ ঘন্টা আগে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

ডুমুরিয়া সহ বিলডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী রেগুলেটরের মুখে পলি অপসারনের কাজ শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুটি ” লং ভুম ভেকু ” দিয়ে গেটের মুখে পলি অপসারনের কাজ শুরু করেছে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।জানাযায়, একসময়ের প্রবল খরস্রোতা নদীর অস্তিত্ত্ব বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। পলি ভরাট হয়ে প্রায় সমতল ভুমিতে রুপ নিয়েছে। নদীর সাথে সংযুক্ত, অধিকাংশ স্লুইস গেটের জলকপাট বন্ধ হয়েগেছে। যার ফলে এ নদী সম্পর্কিত ডুমুরিয়া ও বটিঘাটা এলাকায় জলাবদ্ধতা যেন নিত্য দিনের সাথী হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে আবারো জলাবদ্ধতার ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রকৃতি। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাই রেগুলেটরের জলকপাট চালু করার লক্ষ্যে পানি অপসারনের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জি এম আমানউল্লাহ জানান, গেটের মুখে পলি অপসারনের কাজ আরো আগে করার প্রয়োজন ছিল তাহলে জলাবদ্ধতার হুমকিতে পড়তে হতো না। যদিও শেলমারি রেগুলেটরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি পাম্প চালু হয়েছে প্রায় দেড়মাস আগে। কিন্তু বৃহৎ এ অঞ্চলের পানি নিস্কাশন পাম্প দিয়ে সম্ভব না। প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করাটা খুবই কঠিন। অতিদ্রুত গেটের জলকপাট চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে শ্রাবনে ভারী বৃষ্টিপাত হলে এই অঞ্চল ভেসে যাবে। ইতিমধ্যে রংপুর, খর্নিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কুমার রায় জানান, যখন থেকে পাম্প চালু হয়েছে, তখন থেকে পানি অপসারনের কাজ করতে হতো। তাহলে পাম্পের পানির স্রোতে পলি কেটে নদীর গভীরতা তৈরি হতো। কিন্তু এখন বর্ষার সময় দ্রুত গেট সচল করতে না পারলে নিন্মাঞ্চল আবারো তলিয়ে যাবে। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি আতিকুর রহমান জানান, ডুমুরিয়া সহ বিলাডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৫ কিউসেকের দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প সর্বদা চালু রয়েছে। তাছাড়া গেটের মুখে ভরাটকৃত পানি অপসারনের জন্য ” দুটি লং বুম স্কাবেটর” দিয়ে এখন কাজ শুরু করা হয়েছে। দু একদিনের মধ্যে ভাসমান স্কাবেটর আসবে। পলি অপসারন হলে গেটের জলকপাট খুলে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেছেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের ” শৈলমারী নদী খনন” প্রকল্পটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে শৈলমারী রেগুলেটরে আরো ৩ টি এবং রামদিয়া রেগুলেটরে ২ টি একই ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বরাদ্দ রয়েছে।