, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃক্ষ মেলায় জমে উঠেছে বেচাকেনা, শীর্ষে শাওন নার্সারি। 

  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ১৩৪ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার এবারের প্রতিপাদ্য “পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি “। মেলায় ইতিমধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। বিক্রয়ের শীর্ষে রয়েছে শাওন নার্সারি। এ স্টলে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফল, মুল ও মসলা জাতীয় চারাগাছ।বৃক্ষমেলার নিয়ন্ত্রন কক্ষের তথ্য অনুযায়ী মেলায় অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬১ টি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০ টি। ১৫ জুলাই পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৭৯ টি বৃক্ষ বিক্রি হয়েছে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৫ টাকায়। শাওন নার্সারি মালিক মো: ইকরাম শেখ বলেন ফলজ বৃক্ষের চাহিদা বেশি। সর্বোচ্চ শরিফা আতা গাছের চারা ছয় হাজার টাকা দাম হাকানো হয়েছে।

৪০- ২০০ টাকায় পাবেন যেসব চারা গাছ-

অধিকাংশ ফুলের চারার মুল্য ক্রেতার জন্য বেশ মানানসই চায়না টগর ৪০- ১৫০ টাকা, কাঠ টগর ৫০-২০০ টাকা, ডবল টগর ৫০-১০০ টাকা, চায়না টগর ৫০-১০০ টাকা, দেশি লাল ও গোলাপি জবা ১০০-১৫০ টাকা। দেশি ইরানি গোলাপ ১০০ টাকা ও ইন্ডিয়ান গোলাপ ২০০ টাকা। লাল ও গোলাপি রঙ্গন ১০০-১৬০ টাকা বাতাবি লেবু ১০০-২০০ টাকা। বল সুন্দরী ও নারিকেল বরই ১৫০-২০০ টাকা। আশফল ১৫০ টাকা।

২০০-৫০০ টাকায় পাবেন যেসব চারাগাছ – মালবেরি ২০০-২৫০ টাকা, ৫০-৩০০ টাকায় আম্রপালি। ১৫০ -৩০০ টাকায় হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙা আমের চারা। ডকমাই, ব্যানানা বিদেশি আম।থাই, পলি, গোল্ডেন ৮, মাধবি জাতের পেয়ারার চারার গড় মুল্য ২০০-২৫০ টাকায়। ডালিম এবং আনারের চারার মুল্য ২৫০-৩০০ টাকায়। লাল ও সবুজ আতার চারা ২০০-৫০০ টাকায়। দেশি ও থাই আমড়ার চারার মুল্য ১৫০-৩০০ টাকায়। বারি ১ মাল্টা ১৫০-৪০০ টাকায়। পাকিস্তানি মাল্টা ৪০০-৫০০ টাকায়।কাগজি লেবু ১০০-১৫০ টাকায়। সিডলেস ১০০-৫০০ টাকা, দেশি সফেদা ৩০০-৭০০ টাকা, লটকান ২৫০-৩০০ টাকা, চায়না লিচু – ৩০০ টাকা ও মোজাফফর লিচু ২৫০ টাকা। বাংলাদেশি খাবার একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় রন্ধনশীল প্রনালী যা এ অঞ্চলের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত, এলাচ, গোলমরিচ,আলু বোখারা, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ সহ হরেক রকমের ফলের চারাগাছ।এলাচ-১৫০ টাকা, গোলমরিচ -৪০০-৫০০ টাকা, আলু বোখারা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ১৫০-২০০ টাকা, তেজপাতা ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, লবঙ্গ ৩০০-৪০০ টাকা।

৫০০-১০০০ বা তার বেশি – ভিয়েতনাম মাল্টা ২০০-৭০০ টাকায়, দেশিয় সফেদা ৩০০-৭০০ টাকা। থাই কদবেল ২০০-১২০০ টাকা, সর্বোচ্চ শরিফা (আতা) গাছের চারা ছয় হাজার টাকা। বৃক্ষ মেলার পরিবেশ টা এমন যে মন ভালো হয়ে যায়। ফুলে ফলে লতা গুল্ম যেন এক সাজানো বাগান। প্রতিটি স্টলের ভেতরে, সামনে খোলা মাঠে থাকে সাজানো বিচিত্র রকমের গাছ গাছালির সমাবেশ। চারিদিক সবুজের নিবিড় সন্নিবেশ। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে লাল, হলুদ, সবুজ, আম, কাঠাল, আমলকি, করমচার মতো দেশি ফলত আছেই। ছাদ বাগান করার জন্য মাঝারি ধরনের কাঠাল, সাদা জাম, ব্রাম বেঙ্গল জাতের ফলও রয়েছে।

যেসব গাছ ক্রয় করতে পারবেন – ফুলের কথা আলাদা করে বলতে হবে। কত রঙের ফুল যে আছে মেলায় তার জয়তা নেই।রঙে রুপে সুশোভন করে তুলেছে তারা দৃশ্যপট। মেলায় তাদের সান্নিধ্য ঘুচে যাবে মনের মলিনতা। দেশি ইরানি গোলাপ ও ইন্ডিয়ান গোলাপ। লাল ও গোলাপি রঙ্গন। গকজারা লাল ও গোলাপি। চায়না টগর, কাঠ টগর, ডবল টগর, চায়না টগর,। দেশি লাল ও গোলাপি জবা। কামিনি রক্ত করবি, হাসনা হেনা, শিউলি, গন্ধরাজ,সাদা, হলুদ, লাল কাঠ গোলাপ। হাসনাহেনা নাগচাপা। এছাড়া বিভিন্ন প্রকারের পাতা বাহারের গাছ। আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙা, ডকমাই, ব্যানানা বিদেশি আম।ডালিম এবং আনার, লাল ও সবুজ আতা, দেশি ও থাই আমড়া। ভিয়েতনামি মাল্টা, বারি ১ মাল্টা, পাকিস্তানি মাল্টা। কাগজি লেবু, সিডলেস গন্ধরাজ, বাতাবি লেবু থাই সফেদা, দেশি সফেদা। বল সুন্দরী ও নারিকেল বরই। চায়না লিচু ও মোজাফফর লিচু। দেশি থাই জামরুল, নইল ফল, লাল আমলকি, থাই কদবেল, আশফল, লটকান ও মলিবেরির চারা গাছ। বিনা টিকিটে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উম্মুক্ত থাকে। কোনো টিকিটের প্রয়োজন নেই। গত বছর জুলাই আন্দোলনের কারনে প্রায় সপ্তাহখানেক টোটাল বেচাকেনা বন্ধ ছিল। সেই বছর ২৯ হাজার ২৫৬ টি বৃক্ষের মুল্য ছিল ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৫০ টাকা।

জনপ্রিয়

বৃক্ষ মেলায় জমে উঠেছে বেচাকেনা, শীর্ষে শাওন নার্সারি। 

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার এবারের প্রতিপাদ্য “পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি “। মেলায় ইতিমধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। বিক্রয়ের শীর্ষে রয়েছে শাওন নার্সারি। এ স্টলে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফল, মুল ও মসলা জাতীয় চারাগাছ।বৃক্ষমেলার নিয়ন্ত্রন কক্ষের তথ্য অনুযায়ী মেলায় অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬১ টি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০ টি। ১৫ জুলাই পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৭৯ টি বৃক্ষ বিক্রি হয়েছে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৫ টাকায়। শাওন নার্সারি মালিক মো: ইকরাম শেখ বলেন ফলজ বৃক্ষের চাহিদা বেশি। সর্বোচ্চ শরিফা আতা গাছের চারা ছয় হাজার টাকা দাম হাকানো হয়েছে।

৪০- ২০০ টাকায় পাবেন যেসব চারা গাছ-

অধিকাংশ ফুলের চারার মুল্য ক্রেতার জন্য বেশ মানানসই চায়না টগর ৪০- ১৫০ টাকা, কাঠ টগর ৫০-২০০ টাকা, ডবল টগর ৫০-১০০ টাকা, চায়না টগর ৫০-১০০ টাকা, দেশি লাল ও গোলাপি জবা ১০০-১৫০ টাকা। দেশি ইরানি গোলাপ ১০০ টাকা ও ইন্ডিয়ান গোলাপ ২০০ টাকা। লাল ও গোলাপি রঙ্গন ১০০-১৬০ টাকা বাতাবি লেবু ১০০-২০০ টাকা। বল সুন্দরী ও নারিকেল বরই ১৫০-২০০ টাকা। আশফল ১৫০ টাকা।

২০০-৫০০ টাকায় পাবেন যেসব চারাগাছ – মালবেরি ২০০-২৫০ টাকা, ৫০-৩০০ টাকায় আম্রপালি। ১৫০ -৩০০ টাকায় হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙা আমের চারা। ডকমাই, ব্যানানা বিদেশি আম।থাই, পলি, গোল্ডেন ৮, মাধবি জাতের পেয়ারার চারার গড় মুল্য ২০০-২৫০ টাকায়। ডালিম এবং আনারের চারার মুল্য ২৫০-৩০০ টাকায়। লাল ও সবুজ আতার চারা ২০০-৫০০ টাকায়। দেশি ও থাই আমড়ার চারার মুল্য ১৫০-৩০০ টাকায়। বারি ১ মাল্টা ১৫০-৪০০ টাকায়। পাকিস্তানি মাল্টা ৪০০-৫০০ টাকায়।কাগজি লেবু ১০০-১৫০ টাকায়। সিডলেস ১০০-৫০০ টাকা, দেশি সফেদা ৩০০-৭০০ টাকা, লটকান ২৫০-৩০০ টাকা, চায়না লিচু – ৩০০ টাকা ও মোজাফফর লিচু ২৫০ টাকা। বাংলাদেশি খাবার একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় রন্ধনশীল প্রনালী যা এ অঞ্চলের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত, এলাচ, গোলমরিচ,আলু বোখারা, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ সহ হরেক রকমের ফলের চারাগাছ।এলাচ-১৫০ টাকা, গোলমরিচ -৪০০-৫০০ টাকা, আলু বোখারা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ১৫০-২০০ টাকা, তেজপাতা ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, লবঙ্গ ৩০০-৪০০ টাকা।

৫০০-১০০০ বা তার বেশি – ভিয়েতনাম মাল্টা ২০০-৭০০ টাকায়, দেশিয় সফেদা ৩০০-৭০০ টাকা। থাই কদবেল ২০০-১২০০ টাকা, সর্বোচ্চ শরিফা (আতা) গাছের চারা ছয় হাজার টাকা। বৃক্ষ মেলার পরিবেশ টা এমন যে মন ভালো হয়ে যায়। ফুলে ফলে লতা গুল্ম যেন এক সাজানো বাগান। প্রতিটি স্টলের ভেতরে, সামনে খোলা মাঠে থাকে সাজানো বিচিত্র রকমের গাছ গাছালির সমাবেশ। চারিদিক সবুজের নিবিড় সন্নিবেশ। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে লাল, হলুদ, সবুজ, আম, কাঠাল, আমলকি, করমচার মতো দেশি ফলত আছেই। ছাদ বাগান করার জন্য মাঝারি ধরনের কাঠাল, সাদা জাম, ব্রাম বেঙ্গল জাতের ফলও রয়েছে।

যেসব গাছ ক্রয় করতে পারবেন – ফুলের কথা আলাদা করে বলতে হবে। কত রঙের ফুল যে আছে মেলায় তার জয়তা নেই।রঙে রুপে সুশোভন করে তুলেছে তারা দৃশ্যপট। মেলায় তাদের সান্নিধ্য ঘুচে যাবে মনের মলিনতা। দেশি ইরানি গোলাপ ও ইন্ডিয়ান গোলাপ। লাল ও গোলাপি রঙ্গন। গকজারা লাল ও গোলাপি। চায়না টগর, কাঠ টগর, ডবল টগর, চায়না টগর,। দেশি লাল ও গোলাপি জবা। কামিনি রক্ত করবি, হাসনা হেনা, শিউলি, গন্ধরাজ,সাদা, হলুদ, লাল কাঠ গোলাপ। হাসনাহেনা নাগচাপা। এছাড়া বিভিন্ন প্রকারের পাতা বাহারের গাছ। আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙা, ডকমাই, ব্যানানা বিদেশি আম।ডালিম এবং আনার, লাল ও সবুজ আতা, দেশি ও থাই আমড়া। ভিয়েতনামি মাল্টা, বারি ১ মাল্টা, পাকিস্তানি মাল্টা। কাগজি লেবু, সিডলেস গন্ধরাজ, বাতাবি লেবু থাই সফেদা, দেশি সফেদা। বল সুন্দরী ও নারিকেল বরই। চায়না লিচু ও মোজাফফর লিচু। দেশি থাই জামরুল, নইল ফল, লাল আমলকি, থাই কদবেল, আশফল, লটকান ও মলিবেরির চারা গাছ। বিনা টিকিটে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উম্মুক্ত থাকে। কোনো টিকিটের প্রয়োজন নেই। গত বছর জুলাই আন্দোলনের কারনে প্রায় সপ্তাহখানেক টোটাল বেচাকেনা বন্ধ ছিল। সেই বছর ২৯ হাজার ২৫৬ টি বৃক্ষের মুল্য ছিল ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৫০ টাকা।