, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিষাক্ত পদ পানে আরো দুজনের মৃত্যু, অসুস্থ কয়েকজন।

  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৬৬ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

বিষাক্ত মদ পান করে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের একজনের শুক্রবার রাতে এবং অপর জনের শনিবার রাতে মৃত্যু হয়। ঘটনাটি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া গ্রামে ঘটে। তবে এ ঘটনায় আরো কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত দুজন হলেন, থুকড়া গ্রামের বাসিন্দা রেজওয়ান গাজীর ছেলে রবিউল গাজী এবং একই এলাকার বাসিন্দা জামির সরদারের ছেলে রাসেল সরদার। এছাড়া এঘটনায় একই এলাকার আরো কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা তথ্য গোপন রেখে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার রাতে তারা দুজনই থুকড়া বাজারে স্পীড জাতীয় এলকোহেল সেবন করে। রাতে রবিউল গাজীর অবস্থা অবনতি হলে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউল গাজীর মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের সদস্যরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তার ময়না তদন্ত ছাড়াই শনিবার সকালে লাশ দাফন করা হয়। অপরদিকে অসুস্থ অবস্থায় শনিবার বিকেলে রাসেল সরদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাসের মৃত্যু হয়। সকালে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নেওয়া হয়। রাসেলের বাবা জামির সরদার বলেন, ছেলেটা বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাই হসপিটালে এনে ভর্তি করি। কিছু খাইছে কিনা আমি জানি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি জানান, শুক্রবার রাতে কোন এক সময় থুকড়া বাজারে দলবেঁধে এরা এলকোহেল সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে রবিউল গাজী ও শনিবার রাতে রাসেলের মৃত্যু হয়। বাকিরা নিজ বাড়িতে ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, এলাকাটিতে মাদকের সয়লাব। বেশ কয়েকজন ডিলারের মাধ্যমে এখানে এ ধরনের মাদক সরবরাহ করা হয়। অল্প বয়সী যুবকেরা খুব সহজে হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে এসব। আইন শৃংখলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা নেই।কেউ ধরা খেলেও নিমিষেই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে ধবংসের মুখে পড়বে যুবসমাজ। এব্যপারে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি শুনেছি।তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান তিনি।

জনপ্রিয়

খুলনায় বিষাক্ত পদ পানে আরো দুজনের মৃত্যু, অসুস্থ কয়েকজন।

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

বিষাক্ত মদ পান করে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের একজনের শুক্রবার রাতে এবং অপর জনের শনিবার রাতে মৃত্যু হয়। ঘটনাটি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া গ্রামে ঘটে। তবে এ ঘটনায় আরো কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত দুজন হলেন, থুকড়া গ্রামের বাসিন্দা রেজওয়ান গাজীর ছেলে রবিউল গাজী এবং একই এলাকার বাসিন্দা জামির সরদারের ছেলে রাসেল সরদার। এছাড়া এঘটনায় একই এলাকার আরো কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা তথ্য গোপন রেখে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার রাতে তারা দুজনই থুকড়া বাজারে স্পীড জাতীয় এলকোহেল সেবন করে। রাতে রবিউল গাজীর অবস্থা অবনতি হলে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউল গাজীর মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের সদস্যরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তার ময়না তদন্ত ছাড়াই শনিবার সকালে লাশ দাফন করা হয়। অপরদিকে অসুস্থ অবস্থায় শনিবার বিকেলে রাসেল সরদারকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাসের মৃত্যু হয়। সকালে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নেওয়া হয়। রাসেলের বাবা জামির সরদার বলেন, ছেলেটা বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাই হসপিটালে এনে ভর্তি করি। কিছু খাইছে কিনা আমি জানি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি জানান, শুক্রবার রাতে কোন এক সময় থুকড়া বাজারে দলবেঁধে এরা এলকোহেল সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে রবিউল গাজী ও শনিবার রাতে রাসেলের মৃত্যু হয়। বাকিরা নিজ বাড়িতে ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, এলাকাটিতে মাদকের সয়লাব। বেশ কয়েকজন ডিলারের মাধ্যমে এখানে এ ধরনের মাদক সরবরাহ করা হয়। অল্প বয়সী যুবকেরা খুব সহজে হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে এসব। আইন শৃংখলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা নেই।কেউ ধরা খেলেও নিমিষেই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে ধবংসের মুখে পড়বে যুবসমাজ। এব্যপারে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি শুনেছি।তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান তিনি।