🖊️ রেজুয়ান হাসান জয় মিডিয়া প্রতিনিধি, নেত্রকোনা;
আজ দুপুর ১টার কিছু পর, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আকাশ হঠাৎই ছিন্নভিন্ন করে এক বিমান বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা চিৎকার, ধোঁয়া আর ছুটোছুটিতে রূপ নেয় এক নির্মম বাস্তবতায়।
সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন এক আহত শিক্ষক, যাঁর শরীরের অনেকটা অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। কণ্ঠ কাঁপছিল তাঁর, চোখে ছিল আতঙ্কের ছাপ।
তিনি জানান,
ঘটনার সময়টি ছিল স্কুল ছুটির। গেটে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা কিছু বোঝার আগেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে, দৃষ্টিসীমা কমে আসে। জীবন যেন থমকে যায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শিক্ষকটি ছুটে যান ওয়াশরুমে। ভেজা কাপড় এনে মুখ ঢাকেন এবং পাশে থাকা শিক্ষার্থীদেরও একই নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন,
তিনজন শিক্ষার্থীকে তিনি বাঁচিয়ে আনলেও, তাঁদের একজন গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তার শরীরের চামড়া উঠে গিয়েছিল। আমি আমার কাপড় দিয়ে তাকে মুড়িয়ে সিএমএইচে নিয়ে যাই। নিজে পুড়ে যাচ্ছি, কিন্তু নিজেকে শান্ত রেখে ওদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।
বিমান দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। উত্তরা ও আশপাশের এলাকা থেকে ৮টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ১৬৪ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এটি ছিল শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়।একটি স্কুলপ্রাঙ্গণে নেমে আসা এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যা অনেক পরিবারকে শোকের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।