
মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা অনেক শাসন দেখেছি। এগুলো শাসন চিল না, ছিল শোষন। আমরা সৎ শাসক চাই। জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে সমাবেশে দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সেদিনই তো আমি চলে গিয়েছিলাম। দ্ধীনের পথে লড়তে চাই জীবনের শেষ পর্যন্ত। আর বিদায় নিতে চাই শহীদ হয়ে। রক্তের চাদর গায়ে দিয়ে আল্লাহর সামনে দাড়াতে চাই। বলতে চাই ইয়া মাবুদ বাংলাদেশ কে তুমি কোরআনের শাসন দাও। আজ ২২ জুলাই সকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসা ময়দানের পথ সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে একথা বলেন তিনি। জামায়াতের দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত এবং শোকাহত পরিবারের সাথে সাক্ষাতের জন্য তিনি খুলনা আসে। বক্তব্য জামায়াত আমির বলেন, মাওলানা আবু সাঈদ ইসলামী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন। চব্বিশের আন্দোলনে আমাদের সন্তান আরেক আবু সাঈদ শহীদ হয়েছেন। তোমার দ্ধীন কায়েমের জন্য আর যত আবু সাঈদকে প্রয়োজন তুমি কবুল করে নাও। তিনি বলেন, জালিম শাসকের আমলে আমাদের দুইজন আমির সহ সারাদেশে যারা শহীদ হয়েছেন সবাইকে তুমি কবুল করো। তিনি বলেন, গতকাল সামরিক প্রশিক্ষন বিমান বিধবস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী,শিক্ষক ইন্তেকাল করেছেন। ডাক্তাররা বলছেন আরো ৩০ জনের অবস্থা আশংকা জনক। যারা হাসপাতালে আছেন আল্লাহ তাদের সুস্থ করে তুলুন। তাদেরকে আপনজনের বুকে ফিরিয়ে দিন। দাকোপ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মো: ওয়াহিদুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। এখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারি পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান ও মাস্টার শফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, খুলনা মহানগরীর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম, খুলনা মহানগরী ছাত্র শিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা জেলা নায়েবে আমীর এ্যাড: শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, বাগেরহাট জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খুলনা জেলা কর্ম ও শুরা সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রব, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ আবু ইউসুফ, চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আজিহুর রহমান, পাইকগাছা উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ, কয়রা উপজেলা আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, হরিনটানা থানা আমির আব্দুল গফুর, পাইকগাছা উপজেলা সেক্রেটারি মো: আলতাফ হোসেন, কয়রা উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো: সাইফুল্লাহ, রামপাল উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা জিহাদুজ্জামান, মোংলা পৌর যুব বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাইন প্রমুখ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ পথসভায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আমিরে জামাত ডা: শফিকুর রহমান সকাল ১০ টার দিকে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার চালনা বিএম গ্যাস কোম্পানির হেলিপ্যাডে অবতরন করেন। সেখান থেকে দাকোপ উপজেলা জামায়াত আমির শহীদ মাওলানা আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় সেখানে এক আবেঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে তিনি চালনা সরকারি পৌর কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত করেন। দুপুরে বিএম গ্যাস কোম্পানির হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টার যোগে আমিরে জামাত পাবনার ঈশ্বরদীতে শহীদ মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ির উদ্দেশ্যে দাকোপ ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গার চৌরাস্তা মোড়ে শনিবার ১৯ জুলাই রাত পৌনে তিনটার দিকে রয়্যাল পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ (৫২) মারা যান। এসময় গুরুতর আহত হন জামায়াত কর্মী মো: আনিসুর রহমান ও মো: ইকবাল হোসেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চালনা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন আশংকা মুক্ত।