
রেজুয়ান হাসান, মিডিয়া প্রতিনিধি;
বাংলাদেশ কুস্তিতে যুক্ত হলো নতুন এক মাইলফলক। প্রথমবারের মতো নারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দেশের সাবেক তারকা কুস্তিগীর শিরিন সুলতানা। পুরুষশাসিত এই অঙ্গনে নারীর পদচারণা এখন আর কেবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং গড়ার ভূমিকাতেও জায়গা করে নিচ্ছে।
মিরপুর সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে কুস্তি ক্যাম্পে ৫২ জন কুস্তিগীরের ঘাম ঝরাচ্ছেন শিরিন। প্রতিদিন দুই পর্বে হচ্ছে অনুশীলন, যেখানে তিনি নিজ হাতে তৈরি করছেন পরবর্তী প্রজন্মের রেসলারদের। এই ক্যাম্পকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে দেশের সম্ভাবনাময় অ্যাথলেটরা এশিয়ান ইয়ুথ গেমস, ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ও সাউথ এশিয়ান গেমসের মতো আন্তর্জাতিক আসরের জন্য।
শিরিনের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হলেও, তার কুস্তি জীবনের অর্জনও চোখে পড়ার মতো। ইন্দো বাংলা চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ, এসএ গেমসে রৌপ্য এবং ইসলামিক সলিডারিটিতে ব্রোঞ্জ জয়ের অভিজ্ঞতা তাকে আরও পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতাকে এবার কাজে লাগাচ্ছেন শিষ্যদের মাঝে।
ইতিহাসে নাম লেখা কার না স্বপ্ন? এবার আমি সেই ইতিহাসেরই এক ক্ষুদ্র অংশ, আবেগভরা কণ্ঠে বলেন শিরিন।
প্রতিযোগিতামূলক কুস্তি থেকে ২০১৯ সালে অবসরে গেলেও খেলার প্রতি অদম্য টানই তাকে ফিরিয়ে এনেছে, এবার নতুন পরিচয়ে কোচ হিসেবে। সলিডারিটি কোচেস কোর্স লেভেল-২ শেষ করে নিজেকে তৈরি করেছেন কোচিংয়ের জন্য। নারী হিসেবে এমন দায়িত্ব পাওয়া কেবল ব্যক্তিগত অর্জনই নয়, দেশের কুস্তি অঙ্গনের জন্যও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
শিরিন সুলতানার এই যাত্রা প্রমাণ করে, কুস্তির মঞ্চে নারীর অবস্থান শুধু সম্ভাবনার নয়। এটি বাস্তবতারও নামান্তর।