, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র‌্যাব-১৪, কর্তৃক হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার। জুম চাষের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । কালাইয়ে শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি। রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের গুষ্টিসহ উড়িয়ে দেবো, হুমকি দাতা কৃষকদল নেতা বহিষ্কার। আমতলীতে আওয়ামীলীগ নেতা হলদিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন কে নৃশংস ভাবে হত্যা করায় জলঢাকা সাংবাদিকদের মানববন্ধন। গফরগাঁও প্রেসক্লাবের উদ্যোগ সাংবাদিক তুহিন হত্যা প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত। হায়রে বাংলাদেশ~তাছলিমা আক্তার মুক্তা । গাজীপুর সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার করেছেন জিএমপি ডিবি পুলিশ।
দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

নতুন দিশার সন্ধানে আ.লীগ: হাল ধরছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ১৫৩ পড়া হয়েছে

সিনিয়র প্রতিবেদক, দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ।

বাংলাদেশের ইতিহাস-গর্বিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবার নতুন যুগে পা রাখতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ ৪৪ বছর পথচলার পর, দলটির হাল ধরছেন তারই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে তার আসীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।এমনটাই জানা গেছে দলঘনিষ্ঠ সূত্রে।

সম্প্রতি ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা ও শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তার আগেই দেশের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা। তরুণদের প্রাধান্য, সময়োপযোগী নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তিনির্ভর সংগঠন গঠনের লক্ষ্যে জয়কেই নেতৃত্বে আনছেন বলে জানা যায়।

দলটির বর্তমান সংকটময় সময়ে নেতৃত্বে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ততা এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি এসব বিষয়েই এগিয়ে জয়। দলের অনেক সিনিয়র নেতাও এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

দলের সাধারণ সম্পাদকের পদেও আসতে পারেন নতুন একজন তরুণ, যিনি সংগঠনকে মাঠ পর্যায়ে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। জানা গেছে, ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় এনে একটি শক্তিশালী কোর কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কাজ চলছে, যেখানে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্য দুটোই গুরুত্ব পাচ্ছে।

টানা ১৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালে ক্ষমতা হারায় আওয়ামী লীগ। বর্তমানে দলটি মাঠপর্যায়ে অনেকটা নিষ্ক্রিয়, নেতাকর্মীদের ওপর চলছে নির্যাতন আর গ্রেফতার আতঙ্ক। এই প্রেক্ষাপটে জয়কে সভাপতি করাকে অনেকেই দেখছেন দল পুনর্গঠনের কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে।

এই সিদ্ধান্ত যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তবে এটি হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এক নতুন পালাবদলের সূচনা যেখানে বঙ্গবন্ধুর রক্তধারা আবারও দলের মঞ্চে নেতৃত্বে আসবে, তবে এক ভিন্ন প্রজন্মের হাত ধরে।

 

জনপ্রিয়

ময়মনসিংহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত।

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

নতুন দিশার সন্ধানে আ.লীগ: হাল ধরছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

সিনিয়র প্রতিবেদক, দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ।

বাংলাদেশের ইতিহাস-গর্বিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবার নতুন যুগে পা রাখতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ ৪৪ বছর পথচলার পর, দলটির হাল ধরছেন তারই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে তার আসীন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।এমনটাই জানা গেছে দলঘনিষ্ঠ সূত্রে।

সম্প্রতি ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা ও শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তার আগেই দেশের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা। তরুণদের প্রাধান্য, সময়োপযোগী নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তিনির্ভর সংগঠন গঠনের লক্ষ্যে জয়কেই নেতৃত্বে আনছেন বলে জানা যায়।

দলটির বর্তমান সংকটময় সময়ে নেতৃত্বে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ততা এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি এসব বিষয়েই এগিয়ে জয়। দলের অনেক সিনিয়র নেতাও এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

দলের সাধারণ সম্পাদকের পদেও আসতে পারেন নতুন একজন তরুণ, যিনি সংগঠনকে মাঠ পর্যায়ে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। জানা গেছে, ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় এনে একটি শক্তিশালী কোর কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কাজ চলছে, যেখানে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্য দুটোই গুরুত্ব পাচ্ছে।

টানা ১৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালে ক্ষমতা হারায় আওয়ামী লীগ। বর্তমানে দলটি মাঠপর্যায়ে অনেকটা নিষ্ক্রিয়, নেতাকর্মীদের ওপর চলছে নির্যাতন আর গ্রেফতার আতঙ্ক। এই প্রেক্ষাপটে জয়কে সভাপতি করাকে অনেকেই দেখছেন দল পুনর্গঠনের কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে।

এই সিদ্ধান্ত যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তবে এটি হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এক নতুন পালাবদলের সূচনা যেখানে বঙ্গবন্ধুর রক্তধারা আবারও দলের মঞ্চে নেতৃত্বে আসবে, তবে এক ভিন্ন প্রজন্মের হাত ধরে।