, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

সাবেক স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ফেইসবুকে, অতঃপর পর্নোগ্রাফি মামলা।

  • প্রকাশের সময় : ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫
  • ১০৪ পড়া হয়েছে

মদন প্রতিনিধি : এ এম শফি।ঃ

প্রেম করে বিয়ে, বিয়ের কয়েক মাস পর ডিভোর্স। তারপর স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া। সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা। এমনি এক ঘটনা নেত্রকোনার মদন থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই। এতে তার বাবা-মা ও এক ভাইকেও আসামী করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ভুক্তভোগীর স্বামী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

মামলার আসামী সানজিল মীর মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের বাবুল মীরের ছেলে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী চট্টগ্রামে পোষাক কারখানায় চাকুরী করতেন। সনজিল মীর ওই মেয়ের বাসার পাশের বাড়িতে ভাড়া থকতেন। পাশাপাশি বাসা হওয়ার কারণে প্রায় সময়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত তাকে। এরমধ্যে ওই নারীর বাথরুমে গোসল করার সময় গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সানজিল। ওই ভিডিও ফেইসবুকে ছাড়িয়া দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এরপর চলতি বছর এপ্রিল মাসে আদালতে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর আরও একাধিক আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সানজিল। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যৌতুকের জন্য চাপ তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এরপরপ্রায় ২ মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে যায়। “ময়না তেতুলিয়া” ফেইক আইডি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী মেয়ে গত ২১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পরেও আপত্তিকর ভিডিও ফেইসবুকের মাধ্যমে ছাড়িয়া আসিতেছে।

ভুক্তভোগী বলেন, সনজিল মীরের বিরুদ্ধে এ ধরনের বহু ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। সে কৌশলে নারীদের গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করাই তার কাজ। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসব তথ্য পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সানজিল বলেন, আমাকে তালাক দিয়েছে। যাতে অন্য কোথাও বিবাহ না হয় আমি এজন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়েছি। বিষয়টা সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা চলছে আমার স্ত্রীর সাথে।

মদন থানার পরিদর্শক তদন্ত দেবাংশু বলেন, ভিকটিমের বড় ভাই বাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

সাবেক স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ফেইসবুকে, অতঃপর পর্নোগ্রাফি মামলা।

প্রকাশের সময় : ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫

মদন প্রতিনিধি : এ এম শফি।ঃ

প্রেম করে বিয়ে, বিয়ের কয়েক মাস পর ডিভোর্স। তারপর স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া। সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা। এমনি এক ঘটনা নেত্রকোনার মদন থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই। এতে তার বাবা-মা ও এক ভাইকেও আসামী করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ভুক্তভোগীর স্বামী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

মামলার আসামী সানজিল মীর মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের বাবুল মীরের ছেলে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী চট্টগ্রামে পোষাক কারখানায় চাকুরী করতেন। সনজিল মীর ওই মেয়ের বাসার পাশের বাড়িতে ভাড়া থকতেন। পাশাপাশি বাসা হওয়ার কারণে প্রায় সময়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত তাকে। এরমধ্যে ওই নারীর বাথরুমে গোসল করার সময় গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সানজিল। ওই ভিডিও ফেইসবুকে ছাড়িয়া দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এরপর চলতি বছর এপ্রিল মাসে আদালতে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর আরও একাধিক আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সানজিল। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যৌতুকের জন্য চাপ তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এরপরপ্রায় ২ মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে যায়। “ময়না তেতুলিয়া” ফেইক আইডি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী মেয়ে গত ২১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পরেও আপত্তিকর ভিডিও ফেইসবুকের মাধ্যমে ছাড়িয়া আসিতেছে।

ভুক্তভোগী বলেন, সনজিল মীরের বিরুদ্ধে এ ধরনের বহু ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। সে কৌশলে নারীদের গোসলের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করাই তার কাজ। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসব তথ্য পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সানজিল বলেন, আমাকে তালাক দিয়েছে। যাতে অন্য কোথাও বিবাহ না হয় আমি এজন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়েছি। বিষয়টা সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা চলছে আমার স্ত্রীর সাথে।

মদন থানার পরিদর্শক তদন্ত দেবাংশু বলেন, ভিকটিমের বড় ভাই বাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।