
মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
খুলনা উন্নয়ন কতৃপক্ষ ( কেডিএ) স্থাপনা নিলামে কোটি টাকার দরপত্র বিএনপি ও সাবেক যুবদল নেতারা ভাগবাটোয়ারা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৩ আগষ্ট সিডিউল জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শনিবার রাতেই অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিডিউল নিয়ে নেওয়া হয়। যারা সিডিউল জমা দেননি তাদের জন্য কেডিএ ভবনের চারপাশ ছিল পাহারা। দরপত্রের ৪ টি অংশের জন্য ৮৭ টি সিডিউল বিক্রি হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রতিটি গ্রুপে ৪ টি থেকে ৭ টি সিডিউল জমা পড়েছে। কেডিএ থেকে জানাগেছে, গত ৭ জুলাই কেডিএর তিনটি সংযোগ সড়ক প্রকল্পের দ্ধিতীয়টি অথ্যাৎ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোড থেকে রায়ের মহল পর্যন্ত দুপাশের কাঁচা, পাকা স্থাপনা, গাছপালা ও ভবন নির্মানের দরপত্র প্রকাশ করা হয়। ৩১ জুলাই ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ তারিখ। ঔইদিন পর্যন্ত ৪ টি অংশের জন্য ৮৭ জন সিডিউল কেনেন। আজ ৩ আগষ্ট বেলা ১২ টায় দরপত্র জমা নেওয়া হয়। বিকাল ৩ টায় দরপত্র বাক্স খোলা হলে দেখা যায়, ক- অংশে ৪ টি, খ- অংশে – ৪ টি, গ অংশে – ৬ টি এবং ঘ অংশে ৭ টি সিডিউল জমা পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, শনিবার রাতে তাদের কয়েকজনকে ডেকে সিডিউল জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কাজ পাওয়া ব্যক্তি লাভের একটি অংশ শেয়ার করবেন, এমন প্রলোভন ও দেওয়া হয়। রাত ১০ টা পর্যন্ত কেডিএ কাযালয়ের ভেতরে এসব দেন দরবার চলে। অনেকে সিডিউল জমা দেন, অনেকে জমা দেননি। বেলা ১২ পর্যন্ত কেডিএ ভবনে সতর্ক প্রহরা ছিল। দরপত্র প্রক্রিয়ার সাথে সোনাডাঙ্গা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক ইকবাল হোসেন, যুবদলের সাবেক নেতা সুলতান মাহমুদ সুমন ও আবদুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মিনহাজ্জামান তাজ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভুট্রো, জেলা বিএনপি নেতা শেখ আবদুর রশিদ এবং নগরীর শেখপাড়া এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন। কেডিএর কর্মচারীদের একটি অংশ তাদের সহযোগীতা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কেডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ( প্রকল্প) মোর্তজা আল মামুন বলেন, সিডিউল জমা দিতে বাঁধা বা কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অফিসের ভেতরে এনিয়ে কোনো ঝামেলাও হয়নি। দরপত্র বাক্স খোলার সময় অনেক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। যাচাই – বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।