, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনায় ৪৮ ঘন্টায় ৩ খুন, হত্যাকারীরা ধরাছোয়ার বাহিরে। 

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
  • ৭৩ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

খুলনায় গত ৪৮ ঘন্টায় ব্যবধানে ৩ জনকে হত্যা করা এবং একজনকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মোটিভ উদঘাটিত হলেও প্রকৃত সন্ত্রাসীরা ধরা পড়েনি। হত্যাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সব সময় ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাড়িতে ঢুকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। নগরবাসী তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, গত ১ আগষ্ট রাতে নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হয় সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকার যুবক মনোয়ার হোসেন টগর। সন্ত্রাসীরা ঔই রাতে টগরের বাড়ির দরজা নক করে সেখানে তার সাথে ৫ মিনিট ধরে কথোপকথনের একপর্যায়ে বুকে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামীদের সনাক্ত করতে পারলেও তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় টগরের বাবা জামাল হাওলাদার ৭ জন আসামীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও সবুজবাগ এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানাগেছে, টগর স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী এবং মাদক কারবারীদের সাথে চলাফেরা করতো। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে দুরে থাকার জন্য তাকে বার বার বলা সত্ত্বেও সেকোন কর্নপাত করেনি। ঘটনার দিন রাতে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে ৭ ব্যক্তি তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা সকলেই টগরের পরিচিত। সুত্রটি আরো জানায়, টগরের কাছে ঔই সন্ত্রাসীরা পুর্বে কিছু টাকা পেত। সেই টাকা পরিশোধের জন্য একটি গ্রুপ তাকে প্রায় চাপ দিতো। সেই টাকা পরিশোধ না করার কারনে তাকে সেই দিন রাতে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, টগর পুর্বে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ” বি” কোম্পনির সদস্য ছিল। পরে সে পলাশ – কালা লাভলুর গ্রুপে যোগ দেয়। মাদক কারবারীর টাকা নিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহ্নত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।।এদিকে একই রাতের শেষ দিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে খুন হয় ভ্যান চালক আলামিন সিকদার। ঘটনা প্রসঙ্গে থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ ওসি এইচ এম শাহীন বলেন, স্ত্রী রিপা বেগমের দ্ধিতীয় স্বামী ছিল আলামিন সিকদার। প্রথম স্বামী আসাদুলের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার কারনে আলামিন বিয়ে করে রিপা বেগমকে। আর এর জের হিসেবে ভোরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় আলামিন সিকদারকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফারুক সিকদার আসাদুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আসাদুল পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপরদিকে রোববার রাত পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর ২ নং কাস্টমঘাট এলাকার একটি সেলুনের সামনে অবস্থান নেওয়া যুবক সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা ৪ টি মোটরসাইকেল যোগে আসে। তাদের সকলের মাথায় হেলমেট এবং মুখে কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সন্ত্রাসীর ছোড়া একটি গুলি সোহেলের পেটে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে উপ পুলিশ কমিশনার ( দক্ষিন) মো: আবু তারেক বলেন, এঘটনায় থানায় এখনোও পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাচ্ছি। সেগুলো যাচাই বাছাই করে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। রাতে শহরের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে টহল ডিউটি বাড়ানো হচ্ছে। স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমাদের অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। এদিনে একই রাতে মোটরসাইকেলে চলন্ত অবস্থায় নগরীর মহেশ্বরপাশা উওর বনিকপাড়া এলাকার খানা বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ঘের ব্যবসায়ী আলামিনকে। ঘটনার ১২ ঘন্টার ও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এঘটনায় পুলিশ এখনোও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মীর আতাহার আলী বলেন, সোমবার সকালে নিহতের ভাই আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান ঘটনাস্থলে আশপাশের সিসি ক্যামেরা গুলো নষ্ট থাকায় খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না । স্থানীয়দের তথ্যর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আলামিন ২০১৬ সালের পর থেকে মহেশ্বরপাশা এলাকা ছেড়ে দিয়ে বাদামতলার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সে মাঝে মধ্যে ইজিবাইক চালাত। গত কয়েক মাস আগে একটি মাছের ঘের লিজ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। রোববার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আলামিন মহেশ্বরপাশা দিঘির পুর্বপাড় বাড়িতে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থল অন্ধকার থাকায় সুযোগ বুঝে চলন্ত অবস্থায় তার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। রাতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এদিকে গত কশেকমাস ধরে খুন, রাহাজানীসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার। গত বছর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের হওয়ার পর অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী জেল থেকে বেরিয়ে গেছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তাদেরকে গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুলিশ প্রশাসনের কাঠামো ভেঙে পড়েছে। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার তাদেরকে কাউন্সিলের মাধ্যমে মনোবল ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম যেন দায়সারা। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড রুখতে পুলিশেকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া) খন্দকার মোশতাক হোসেন আহমেদ বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, এসব হত্যাকান্ড গুলো টার্গেট কিলিং। যা পুলিশের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময়ে খুনিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু বিচারবিভাগের নমনীয়তার কারনে সহজে আদালতের মাধ্যমে কারাগার থেকে জামিন পেয়ে বের হয়ে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কার্যক্রম চালায় তারা। বিচার বিভাগ কঠোর হলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধ করা সহজ হতো।

 

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ ডেস্ক

আমরা সকলেই কথা বলি।

জনপ্রিয়

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনায় ৪৮ ঘন্টায় ৩ খুন, হত্যাকারীরা ধরাছোয়ার বাহিরে। 

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

খুলনায় গত ৪৮ ঘন্টায় ব্যবধানে ৩ জনকে হত্যা করা এবং একজনকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মোটিভ উদঘাটিত হলেও প্রকৃত সন্ত্রাসীরা ধরা পড়েনি। হত্যাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সব সময় ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাড়িতে ঢুকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। নগরবাসী তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, গত ১ আগষ্ট রাতে নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হয় সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকার যুবক মনোয়ার হোসেন টগর। সন্ত্রাসীরা ঔই রাতে টগরের বাড়ির দরজা নক করে সেখানে তার সাথে ৫ মিনিট ধরে কথোপকথনের একপর্যায়ে বুকে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামীদের সনাক্ত করতে পারলেও তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় টগরের বাবা জামাল হাওলাদার ৭ জন আসামীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও সবুজবাগ এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানাগেছে, টগর স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী এবং মাদক কারবারীদের সাথে চলাফেরা করতো। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে দুরে থাকার জন্য তাকে বার বার বলা সত্ত্বেও সেকোন কর্নপাত করেনি। ঘটনার দিন রাতে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে ৭ ব্যক্তি তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা সকলেই টগরের পরিচিত। সুত্রটি আরো জানায়, টগরের কাছে ঔই সন্ত্রাসীরা পুর্বে কিছু টাকা পেত। সেই টাকা পরিশোধের জন্য একটি গ্রুপ তাকে প্রায় চাপ দিতো। সেই টাকা পরিশোধ না করার কারনে তাকে সেই দিন রাতে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, টগর পুর্বে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ” বি” কোম্পনির সদস্য ছিল। পরে সে পলাশ – কালা লাভলুর গ্রুপে যোগ দেয়। মাদক কারবারীর টাকা নিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহ্নত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।।এদিকে একই রাতের শেষ দিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে খুন হয় ভ্যান চালক আলামিন সিকদার। ঘটনা প্রসঙ্গে থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ ওসি এইচ এম শাহীন বলেন, স্ত্রী রিপা বেগমের দ্ধিতীয় স্বামী ছিল আলামিন সিকদার। প্রথম স্বামী আসাদুলের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার কারনে আলামিন বিয়ে করে রিপা বেগমকে। আর এর জের হিসেবে ভোরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় আলামিন সিকদারকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফারুক সিকদার আসাদুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে। হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আসাদুল পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপরদিকে রোববার রাত পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর ২ নং কাস্টমঘাট এলাকার একটি সেলুনের সামনে অবস্থান নেওয়া যুবক সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা ৪ টি মোটরসাইকেল যোগে আসে। তাদের সকলের মাথায় হেলমেট এবং মুখে কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সন্ত্রাসীর ছোড়া একটি গুলি সোহেলের পেটে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে উপ পুলিশ কমিশনার ( দক্ষিন) মো: আবু তারেক বলেন, এঘটনায় থানায় এখনোও পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাচ্ছি। সেগুলো যাচাই বাছাই করে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। রাতে শহরের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে টহল ডিউটি বাড়ানো হচ্ছে। স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমাদের অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার। এদিনে একই রাতে মোটরসাইকেলে চলন্ত অবস্থায় নগরীর মহেশ্বরপাশা উওর বনিকপাড়া এলাকার খানা বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ঘের ব্যবসায়ী আলামিনকে। ঘটনার ১২ ঘন্টার ও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এঘটনায় পুলিশ এখনোও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মীর আতাহার আলী বলেন, সোমবার সকালে নিহতের ভাই আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান ঘটনাস্থলে আশপাশের সিসি ক্যামেরা গুলো নষ্ট থাকায় খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না । স্থানীয়দের তথ্যর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আলামিন ২০১৬ সালের পর থেকে মহেশ্বরপাশা এলাকা ছেড়ে দিয়ে বাদামতলার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সে মাঝে মধ্যে ইজিবাইক চালাত। গত কয়েক মাস আগে একটি মাছের ঘের লিজ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। রোববার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আলামিন মহেশ্বরপাশা দিঘির পুর্বপাড় বাড়িতে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থল অন্ধকার থাকায় সুযোগ বুঝে চলন্ত অবস্থায় তার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। রাতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এদিকে গত কশেকমাস ধরে খুন, রাহাজানীসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার। গত বছর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের হওয়ার পর অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী জেল থেকে বেরিয়ে গেছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তাদেরকে গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুলিশ প্রশাসনের কাঠামো ভেঙে পড়েছে। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার তাদেরকে কাউন্সিলের মাধ্যমে মনোবল ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম যেন দায়সারা। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড রুখতে পুলিশেকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া) খন্দকার মোশতাক হোসেন আহমেদ বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, এসব হত্যাকান্ড গুলো টার্গেট কিলিং। যা পুলিশের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময়ে খুনিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু বিচারবিভাগের নমনীয়তার কারনে সহজে আদালতের মাধ্যমে কারাগার থেকে জামিন পেয়ে বের হয়ে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কার্যক্রম চালায় তারা। বিচার বিভাগ কঠোর হলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধ করা সহজ হতো।

 

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ ডেস্ক

আমরা সকলেই কথা বলি।