, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় পারিবারিক অভিমানে গৃহবধূর স্বপ্ন থেমে গেল পথেই। স্বপ্ন পূরণ হলো না দম্পতির। বাংলাদেশের সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী ‎আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।  কাঁচপুরে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া। জমুক বৃষ্টি নতুন সৃষ্টি~ শিরীন আফরোজ রানী । শেষ শিখা~ সঙ্গীতা ইয়াসমিন। দিঘলিয়ায় দেশিয় অস্ত্র ও গুলি সহ যুবক আটক।  এবার জামিনে কারামুক্ত হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও অভিনেত্রী শমী কায়সার। ত্যাগ ও সংগ্রামের ৪২ বছর পর নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী। ক্ষেতলালে গভীর নলকূপের লাইনম্যানকে হত্যা।
দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনা এসওএস শিশু পল্লীতে রহস্যজনক মৃত্যু। 

  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫
  • ২৫ পড়া হয়েছে

 

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

খুলনার এসওএস শিশু পল্লীর নবম শ্রেণির ছাত্রী ইশরাত জাহান ইশার (১৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্কুল কতৃপক্ষ বিষয়টি দেখে তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ঔই ছাত্রী সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা খালেকের মেয়ে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম। ঔই ছাত্রীর নানা জুয়েল শেখ জানান, আমার নাতনির মা বেঁচে নেই। ইশরার ১৬ মাস বয়সে তার মা মারা যায়। তারপর থেকে তাকে এসওএস শিশু পল্লীর হোমে রেখে লেখাপড়া করানো হয়। সেখানে ১৪ বছর অবস্থান করছে। ঔই হোমের কেউ আমার নাতনির ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার রাতে ইশরা গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে সেখানকার কয়েকজন কর্মকর্তা তা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং রাত ১২ টার কিছু পরে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশকে খবর না দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আমাদের খবর দেয়। হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে এসওএস পল্লীর কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। যে রশি বা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ইশা, সেটাও তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।এটা একটি রহস্যজনক মৃত্যু বলে তিনি দাবি করেছেন। খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু। দুপুরের পর ময়না তদন্ত শেষে ছাত্রীর মরদেহ মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জনপ্রিয়

কেন্দুয়ায় পারিবারিক অভিমানে গৃহবধূর স্বপ্ন থেমে গেল পথেই।

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনা এসওএস শিশু পল্লীতে রহস্যজনক মৃত্যু। 

প্রকাশের সময় : ০৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫

 

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

খুলনার এসওএস শিশু পল্লীর নবম শ্রেণির ছাত্রী ইশরাত জাহান ইশার (১৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্কুল কতৃপক্ষ বিষয়টি দেখে তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ঔই ছাত্রী সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা খালেকের মেয়ে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম। ঔই ছাত্রীর নানা জুয়েল শেখ জানান, আমার নাতনির মা বেঁচে নেই। ইশরার ১৬ মাস বয়সে তার মা মারা যায়। তারপর থেকে তাকে এসওএস শিশু পল্লীর হোমে রেখে লেখাপড়া করানো হয়। সেখানে ১৪ বছর অবস্থান করছে। ঔই হোমের কেউ আমার নাতনির ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার রাতে ইশরা গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে সেখানকার কয়েকজন কর্মকর্তা তা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং রাত ১২ টার কিছু পরে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশকে খবর না দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আমাদের খবর দেয়। হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে এসওএস পল্লীর কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। যে রশি বা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ইশা, সেটাও তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।এটা একটি রহস্যজনক মৃত্যু বলে তিনি দাবি করেছেন। খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু। দুপুরের পর ময়না তদন্ত শেষে ছাত্রীর মরদেহ মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।