অনলাইন ডেস্ক
গাজীপুর মহানগরের সদর মেট্রো থানার পাশে প্রকাশ্যে এক সাংবাদিকের ওপর ঘটে গেলো বিভীষিকাময় এক হামলা। বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটলেও, পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তা জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
আহত সাংবাদিকের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার একজন সংবাদকর্মী। ভিডিওতে দেখা যায়, জয়দেবপুর রেললাইনের উত্তরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এক ফলের বাজারের সামনে আনোয়ারকে একদল দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করছে।
দৃশ্যটি ছিলো রীতিমতো হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দেওয়ার মতো টানাহেঁচড়া করে রাস্তার একপাশে নেওয়ার পর ইট দিয়ে পা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। কেউ পায়ের ওপর লাফিয়ে উঠে, কেউ ইট দিয়ে আঘাত করে। সাংবাদিকের আর্তনাদে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও বেদনা।
অবাক করার মতো বিষয় হলো, ভিডিওতে একজন পুলিশ সদস্যকে ঘটনার সময় উপস্থিত দেখা গেলেও প্রথমদিকে কোনো হস্তক্ষেপ করেননি। পরে ইট দিয়ে আঘাতের পর তিনি এগিয়ে যান। গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার পায়ে গুরুতর জখম ছাড়াও শরীরের নানা স্থানে আঘাত রয়েছে।
এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বলেন, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের উপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা শুধু গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং পুরো সমাজ ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরে। সমাজের সচেতন নাগরিকদের দাবি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন নৃশংসতার সাহস না পায়।