মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, নেত্রকোনা জেলার ক্রাইম রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ঘেসে পৌর অনুমতি না নিয়ে দেয়াল নির্মান করছেন একজন জায়গার মালিক, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দাখিল।
১৮ আগষ্ট সোমবার বিকেলে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার পুরাতন বাসষ্টেন্ড সংলগ্ন সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- কেন্দুয়া পৌর শহরে ডাক বাংলো, কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয়, সাবেক জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ রুকন উদ্দিন খান, এডভোকেট দিদারুল আলম খান, জাহেদ খান, সুমন খান, রেজাক খান, নাছির উদ্দিন ভুইঁয়া, বাবুু, জানু খান, মোনায়েম খান নিপেন্দ্র চন্দ্র পালসহ অসংখ্য পরিবারের বাসাবাড়ি ও ২০টি দোকানের পানি ডাক বাংলো ছলিমউদ্দিনের সীমানা ঘেঁষে প্রানী সম্পদ (নিচু) জায়গা দিয়ে চলাচল করে নিষ্কাসন হতো। কিন্তু
হঠাৎ কান্দিউড়া গ্রামের ছলিমউদ্দিন ভুইঁয়া তার নিজস্ব জায়গা (নিচু) ডাক বাংলো ও প্রানী সম্পদ কার্যালয়ের দেয়াল ঘেসে ছলিমউদ্দিনের ব্যক্তিগত জায়গা দেয়াল নির্মান করে বন্ধ করে দেয়। দেয়াল নির্মানের আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক বরাবর ৪আগষ্ট একটি অভিযোগ দাখিল করেন রুকন উদ্দিন খান গংরা।
তাৎক্ষণিক অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক ইমদাদুল হক তালুকদার যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য পৌর ইন্জিনিয়ার রাজু আহমেদকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ইন্জিনিয়ার রাজু ছলিমউদ্দিনের ছেলে আরমানের যোগসাজশে নিরব ভুমিকা পালন করেন। ছলিমউদ্দিনের ছেলে আরমানকে বলেন তুমি দেয়ালের নিচে দিয়ে একটা প্লাস্টিকের পাইপের ব্যবস্হা কর। আরমান এই কথাগুলো কর্নপাত করেনি।
পৌর ইন্জিনিয়ার রাজুর সাথে কথা বলার জন্য পৌর ভবনে গিয়ে ও ফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মতিউর রহমান স্বরে জমিনে গিয়ে বলেন- প্রত্যেক মালিকের উচিৎ যার যার সীমানা থেকে অন্তত তিনফিট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা। তিনি আরও বলেন আমাদের সীমানা ও ডাক বাংলো সীমানা এবং ছলিমউদ্দিনের দেয়াল অতি নিকটে হওয়ায় এই এলাকার পানি নিষ্কাসন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পৌর প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল সাকী বলেন- এই এলাকার পানি নিষ্কাসন ছলিমউদ্দিনের দেয়াল ঘেসে নিষ্কাসন হতো এখন দেয়াল হয়ে যাওয়ায় পানি আটকে গেছে, এটার সমাধান হওয়া উচিত। না হলে এই এলাকার দুর্ভোগ বেড়ে যাবে।
ছলিমউদ্দিনের ছেলে আরমান বলেন- সরকারি ভাবে যদি ড্রেনের ব্যবস্হা করা হয় তাহলে আমদের জায়গা দিতে আপত্তি নেই, প্রয়োজনে দেয়াল ভেঙে পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্হা করবো। পৌর ইন্জিনিয়ার এসে আমাকে বলে গিয়েছে পানি নিষ্কাসনের জন্য আমি একটি পাইপের ব্যবস্হা করে দিতে।
রুকন উদ্দিন খান বলেন- আমি বিষয়টি জেনে ছলিমউদ্দিনের সাথে আগেই কথা বলেছি, কাজ করলে সীমানা জায়গা রেখে কাজ করবেন এই পরামর্শ দিয়েছি, কিন্তু দেয়ালের কাজ করতে যখন শুরু করলো তখন বাঁধা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছি। অভিযোগ পেয়ে স্যার পৌর ইন্জিনিয়ার রাজু’কে দায়িত্ব দেন,কিন্তু রাজু ছলিমউদ্দিনের ছেলে আরমানের যোগসাজশে তাকে কিছুই বলেননি। আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।