, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খুলনায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু। খুলনার রুপসায় ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার। আমতলীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড, সহযোগীর কারাদন্ড। কেন্দুয়ায় মাছের পোনা উন্মুক্ত বিতরণের মাধ্যমে মৎস্য সপ্তাহ সমাপ্তি। আজ অনুষ্ঠিত হলো ময়মনসিংহ জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির ৮ম সভা। কেন্দুয়ায় গর্ভবতী নারীকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ। আমতলীতে ছাত্রদলে যোগ দিলেন ৪ এনসিপি নেতা। রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন। মাধবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু। ময়মনসিংহ পিবিআই অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লক্ষাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা – ইজিবাইক। 

  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
  • ৩০ পড়া হয়েছে

 

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

সংখ্যাটি আসলে কত তার সঠিক হিসাব কারো কাছে নেই। কেউ বলছেন, ৩০ হাজার, কেউবা ৫০ হাজার। তবে কেউ কেউ আবার বলছেন ৮০ থেকে ১ লাখের বেশি অটোরিকশা ও ইজিবাইক সমগ্র খুলনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু খুলনা সিটি করপোরেশন কাগজে কলমের বৈধভাবে অটোরিকশা রয়েছে ৮ হাজার আর পন্যবাহী ব্যাটারি চালিত অটো রয়েছে ২ হাজার। সব মিলিয়ে কেসিসির অনুমোদিত বৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা রয়েছে ১০ হাজার। খুলনা নগরী ও জেলা জুড়ে বিদুৎ খেকো, মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ এই ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর কোনো নীতিমালা নেই,ট্যাক্স নেই,লাইসেন্স নেই। গতকাল রবিবার থেকে কেএমপিতে শুরু হয়েছে আটক অভিযান। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে তবে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি। এটি নগরী ও জেলায় দাপিয়ে বেড়ানো ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার সংখ্যা। নগরীতে ঠিক কতটি অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চলাচল করছে তা জানার জন্য নানাভাবেও চেষ্টা করেও সংখ্যাটি জানা সম্ভব হয়নি। তবে নগরীতে ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম চলছে সমান তালে। অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ সর্বত্র দাবড়ে বেড়াচ্ছে বিদুৎ খেকো, ঝুকিপূর্ণ এই ব্যাটারি রিকশা। কোনো নীতিমালা নেই, ট্যাক্স নেই, লাইসেন্স নেই,নেই নিয়ম কানুন। নগর ও জেলার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের শাসনামলের মতো গেল এক বছরেও ব্যাটারি চালিত তিন, চাকার অটো রিকশা, ইজিবাইক, নছিমন – করিমন নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে মাঝে মধ্যে চালনো হচ্ছে অভিযান। তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুনা। ধরা পড়েছে কিছু ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। কিন্তু তাও আবার কয়েকদিনের মধ্যে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছে। ফলে তারা নির্ভয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নাকের ডগায় বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনে মশক নিধনের মতো ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার বিরুদ্ধে নেই কোন কার্যকরি পদক্ষেপ। বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়ানো এই অবৈধ বাহন ধরাধরিতে নেই কোন প্রভাব। নগরীতে মশার মতো ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ সংখ্যা এখন প্রায় লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে খুলনার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের অভিমত। তবে পুর্বেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এই বাহন গুলো চলাচলের। কিন্তু কোন সংস্থায় আদালতের নির্দেশ মানছে না বলে অভিযোগ করছেন নাগরিক নেতা এ্যাড: বাবুল হাওলাদার। তিনি বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা, কেসিসি ও সমগ্র জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সমন্বয়ে সন্মিলিত প্রচেষ্টায় এর দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। তাই বাহন গুলো নগরী সহ সমগ্র খুলনায় ঘাতক হিসেবে পরিচিত সাধারণ মানুষের মধ্যে। গত পাঁচ বছর আগেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে চলাচলের। কিন্তু কিভাবে চলাচল করছে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থার নিকট জিজ্ঞাসা সাধারণ মানুষের। সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, একটি নিষিদ্ধ যান অলি- গলির ভিতরে কিভাবে চলে। তাদের ভাষায় একটি অবৈধ জিনিস সর্বত্র অবৈধ। এটি গলিতে বৈধ হয় কিভাবে? কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মনিরুজ্জামান রহিম বলেন, গত এক বছর যাবৎ এককালীন ১০ হাজার ও বছরে ২ হাজার টাকা নবায়ন ফি দিয়ে বৈধভাবে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা শহরে চলাচল করছে। তবে কেসিসির অনুমোদিত এই সংখ্যক অটো রিকশাকে আরএফআইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এদের বাহিরে সকল অটো রিকশার বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে তিনি পুলিশ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজস্ব কর্মকর্তা ও সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হবে। তিনি ট্রাফিক বিভাগের অসহযোগীতার অভিযোগ করেন। ইতিপূর্বে তাদের কারনে কেসিসির অভিযান পরিচালিত হলেও ট্রাফিক বিভাগের অসহযোগীতা হেনস্তার শিকার হয়েছেন কেসিসির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এছাড়া নগরীতে রয়েছে তিন চাকার নছিমন – করিমনের উপদ্রব। এই লাইসেন্স অফিসার দাবি করেন জেলার অধিকাংশ বাহন নগরীতে প্রবেশ করে সারাদিন চলাচল করছে ও রাতে নিজ এলাকায় ফিরে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়ি। জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাজী আবু নাঈম বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু তা কার্যকরি করতে হলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের একার কাজ না এটি। জেলায় এই অবৈধ বাহন আটক ও নিয়ন্ত্রনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু অটো রিকশা আটক করা হয়েছে। তবে জেলা ট্রাফিক বিভাগের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেছেন। অপরদিকে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা নিয়ে পুলিশের লাখ লাখ টাকার বানিজ্যর অভিযোগ করেছেন ব্যাটারি রিকশা মালিক ও চালক সমিতির একাধিক নেতা। তারা অভিযোগ করেছেন প্রতিদিন নগরীর থানা এবং ট্রাফিক পুলিশ অনেক ব্যাটারি রিকশা আটক করে। সন্ধ্যার পর একেকটি গাড়ির বিপরীতে হাজার টাকা আদায় করে তা ছাড়া হয়। ব্যাটারি রিকশা থানা ও ট্রাফিক পুলিশের বানিজ্যের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঝুকিপূর্ণ এই বাহনটি ইতিমধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ চাইলেই একদিনেই অবৈধ ব্যাটারি রিকশা বন্ধ করতে পারে মন্তব্য করে নগরীর শাহারিয়ার আহমেদ বলেন, পুলিশ যদি চলতে না দেয় তাহলে কাল থেকে কি নগরীতে একটি ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চলতে পারবে? কিন্তু খুলনার পুলিশের সেই সদিচ্ছা নাই। কারন হিসেবে তিনি বলেন, এখনোও অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য রয়েছে সাবেক সরকারের দোসর বিধায় কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তারা। এছাড়া নগরী ও জেলায় রিকশার ব্যাটারি চার্জ করার হাজার হাজার পয়েন্ট রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত বিদুৎ খরচ হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিদুৎ বিভ্রেটের কবলে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। বিদুৎ বিভগের নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। এই সকল পয়েন্ট গুলোতে ও সড়কে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সঠিক অভিযান চালানো। নাগরিক সংগঠন গুলোর নেতারা বলেন, পুরো সেক্টরটিকে একটি নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। প্রথমে এটির চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে হবে। কোন অবস্থায় মুল সড়কে উঠতে পারবে না। প্রতিটি রিস্কার রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে। ট্যাক্স নিতে হবে। ড্রাইভারের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স থাকতে হবে। ব্যাটারি রিকশাকে যদি একটি সিস্টেমে আনা যায় তাহলে সরকার ও সিটি করপোরেশন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করতে পারবে। প্রশিক্ষিত চালক দ্ধারা পরিচালিত হলে ঝুকি ও বহুলাংশে কমে যাবে।

জনপ্রিয়

খুলনায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু।

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লক্ষাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা – ইজিবাইক। 

প্রকাশের সময় : ০৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫

 

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

সংখ্যাটি আসলে কত তার সঠিক হিসাব কারো কাছে নেই। কেউ বলছেন, ৩০ হাজার, কেউবা ৫০ হাজার। তবে কেউ কেউ আবার বলছেন ৮০ থেকে ১ লাখের বেশি অটোরিকশা ও ইজিবাইক সমগ্র খুলনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু খুলনা সিটি করপোরেশন কাগজে কলমের বৈধভাবে অটোরিকশা রয়েছে ৮ হাজার আর পন্যবাহী ব্যাটারি চালিত অটো রয়েছে ২ হাজার। সব মিলিয়ে কেসিসির অনুমোদিত বৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা রয়েছে ১০ হাজার। খুলনা নগরী ও জেলা জুড়ে বিদুৎ খেকো, মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ এই ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর কোনো নীতিমালা নেই,ট্যাক্স নেই,লাইসেন্স নেই। গতকাল রবিবার থেকে কেএমপিতে শুরু হয়েছে আটক অভিযান। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে তবে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি। এটি নগরী ও জেলায় দাপিয়ে বেড়ানো ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার সংখ্যা। নগরীতে ঠিক কতটি অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চলাচল করছে তা জানার জন্য নানাভাবেও চেষ্টা করেও সংখ্যাটি জানা সম্ভব হয়নি। তবে নগরীতে ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম চলছে সমান তালে। অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ সর্বত্র দাবড়ে বেড়াচ্ছে বিদুৎ খেকো, ঝুকিপূর্ণ এই ব্যাটারি রিকশা। কোনো নীতিমালা নেই, ট্যাক্স নেই, লাইসেন্স নেই,নেই নিয়ম কানুন। নগর ও জেলার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা বিগত আওয়ামিলীগ সরকারের শাসনামলের মতো গেল এক বছরেও ব্যাটারি চালিত তিন, চাকার অটো রিকশা, ইজিবাইক, নছিমন – করিমন নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে মাঝে মধ্যে চালনো হচ্ছে অভিযান। তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুনা। ধরা পড়েছে কিছু ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। কিন্তু তাও আবার কয়েকদিনের মধ্যে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছে। ফলে তারা নির্ভয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নাকের ডগায় বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনে মশক নিধনের মতো ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার বিরুদ্ধে নেই কোন কার্যকরি পদক্ষেপ। বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়ানো এই অবৈধ বাহন ধরাধরিতে নেই কোন প্রভাব। নগরীতে মশার মতো ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ সংখ্যা এখন প্রায় লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে খুলনার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের অভিমত। তবে পুর্বেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এই বাহন গুলো চলাচলের। কিন্তু কোন সংস্থায় আদালতের নির্দেশ মানছে না বলে অভিযোগ করছেন নাগরিক নেতা এ্যাড: বাবুল হাওলাদার। তিনি বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা, কেসিসি ও সমগ্র জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সমন্বয়ে সন্মিলিত প্রচেষ্টায় এর দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। তাই বাহন গুলো নগরী সহ সমগ্র খুলনায় ঘাতক হিসেবে পরিচিত সাধারণ মানুষের মধ্যে। গত পাঁচ বছর আগেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে চলাচলের। কিন্তু কিভাবে চলাচল করছে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থার নিকট জিজ্ঞাসা সাধারণ মানুষের। সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, একটি নিষিদ্ধ যান অলি- গলির ভিতরে কিভাবে চলে। তাদের ভাষায় একটি অবৈধ জিনিস সর্বত্র অবৈধ। এটি গলিতে বৈধ হয় কিভাবে? কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মনিরুজ্জামান রহিম বলেন, গত এক বছর যাবৎ এককালীন ১০ হাজার ও বছরে ২ হাজার টাকা নবায়ন ফি দিয়ে বৈধভাবে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা শহরে চলাচল করছে। তবে কেসিসির অনুমোদিত এই সংখ্যক অটো রিকশাকে আরএফআইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এদের বাহিরে সকল অটো রিকশার বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে তিনি পুলিশ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজস্ব কর্মকর্তা ও সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হবে। তিনি ট্রাফিক বিভাগের অসহযোগীতার অভিযোগ করেন। ইতিপূর্বে তাদের কারনে কেসিসির অভিযান পরিচালিত হলেও ট্রাফিক বিভাগের অসহযোগীতা হেনস্তার শিকার হয়েছেন কেসিসির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এছাড়া নগরীতে রয়েছে তিন চাকার নছিমন – করিমনের উপদ্রব। এই লাইসেন্স অফিসার দাবি করেন জেলার অধিকাংশ বাহন নগরীতে প্রবেশ করে সারাদিন চলাচল করছে ও রাতে নিজ এলাকায় ফিরে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়ি। জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাজী আবু নাঈম বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু তা কার্যকরি করতে হলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের একার কাজ না এটি। জেলায় এই অবৈধ বাহন আটক ও নিয়ন্ত্রনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু অটো রিকশা আটক করা হয়েছে। তবে জেলা ট্রাফিক বিভাগের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেছেন। অপরদিকে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা নিয়ে পুলিশের লাখ লাখ টাকার বানিজ্যর অভিযোগ করেছেন ব্যাটারি রিকশা মালিক ও চালক সমিতির একাধিক নেতা। তারা অভিযোগ করেছেন প্রতিদিন নগরীর থানা এবং ট্রাফিক পুলিশ অনেক ব্যাটারি রিকশা আটক করে। সন্ধ্যার পর একেকটি গাড়ির বিপরীতে হাজার টাকা আদায় করে তা ছাড়া হয়। ব্যাটারি রিকশা থানা ও ট্রাফিক পুলিশের বানিজ্যের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঝুকিপূর্ণ এই বাহনটি ইতিমধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ চাইলেই একদিনেই অবৈধ ব্যাটারি রিকশা বন্ধ করতে পারে মন্তব্য করে নগরীর শাহারিয়ার আহমেদ বলেন, পুলিশ যদি চলতে না দেয় তাহলে কাল থেকে কি নগরীতে একটি ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চলতে পারবে? কিন্তু খুলনার পুলিশের সেই সদিচ্ছা নাই। কারন হিসেবে তিনি বলেন, এখনোও অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য রয়েছে সাবেক সরকারের দোসর বিধায় কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তারা। এছাড়া নগরী ও জেলায় রিকশার ব্যাটারি চার্জ করার হাজার হাজার পয়েন্ট রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত বিদুৎ খরচ হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিদুৎ বিভ্রেটের কবলে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। বিদুৎ বিভগের নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। এই সকল পয়েন্ট গুলোতে ও সড়কে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সঠিক অভিযান চালানো। নাগরিক সংগঠন গুলোর নেতারা বলেন, পুরো সেক্টরটিকে একটি নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। প্রথমে এটির চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে হবে। কোন অবস্থায় মুল সড়কে উঠতে পারবে না। প্রতিটি রিস্কার রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে। ট্যাক্স নিতে হবে। ড্রাইভারের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স থাকতে হবে। ব্যাটারি রিকশাকে যদি একটি সিস্টেমে আনা যায় তাহলে সরকার ও সিটি করপোরেশন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করতে পারবে। প্রশিক্ষিত চালক দ্ধারা পরিচালিত হলে ঝুকি ও বহুলাংশে কমে যাবে।