
মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ক্রাইম রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের কৈলাটী গ্রামে জোর পূর্বক মালিকানা পুকুর থেকে মাছ ও কলারছড়ি লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
২১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ১১ ঘটিকায় নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের কৈলাটী গ্রামে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় জোর পূর্বক মালিকানা পুকুর থেকে মাছ ও কলারছড়ি লুট করে নিয়ে যায়, এবং তরতাজা কলাগাছগুলো ধারালো অস্ত্র দা দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে চলে যায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
২২ আগষ্ট শুক্রবার সকালে থানায় এসে অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী আনজু মিয়া।
অভিযোগে জানা যায়-কেন্দুয়া থানাধীন সহিলাটী গ্রাম হতে কৈলাটী গ্রামের হুমায়ুন আহাম্মেদ এর রাস্তার প্রকল্পের কাজ ১নং বিবাদী ঠিকমত প্রকল্পের কাজ না করায় আমি সহ তারা মিয়া আঃ ছাত্তার কাজল মিয়া গং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি।
এই কারনে বিবাদীরা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ক্ষতি করার সুযোগে খুঁজতে থাকে। এমতাবস্থায় ঘটনার তারিখ ও সময়ে উল্লেখিত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রাদিতে সজ্জিত হয়ে বে আইনী জনতাবদ্ধে একই উদ্দেশ্যে আমার পুকুরে অনধিকার ভাবে করিয়া ১নং বিবাদী সবুজ মেম্বার এর দিক নির্দেশনায় সকল বিবাদীরা বেড় জাল দিয়া পুকুরির মাছ মারিতে থাকে। আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদের ভয়ে আমি ঘটনাস্থল হতে চলে আসি। বিবাদীরা আমার পুকুরের অনুমান ১,৫০,০০০/- টাকার বাংলা মাছ পুকুর পাড়ে থাকা ১০০ কলার ছড়ি, অনুমান অনুমান-৫০,০০০/ টাকা হবে এবং বিবাদীরা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা কাটিয়া অনুমান ২০,০০০/- টাকার ক্ষতি করিয়া মাছ ও কলার ছড়া নিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
অভিযুক্তরা হলেন- ১। সবুজ মেম্বার (৪৫), পিতা- মৃত নইমুদ্দিন, ২। আলীম উদ্দিন (৬০), পিতা- মৃত এহিম ৩। মজলু (৩০), পিতা- মুকসুদ আলী, ৪। আনোয়ার (২৫) পিতা- সরাফত আলী ৫। রঙ্গু মিয়া (৩২), পিতা- নায়েব আলী ৬। জব্বার (৩৫), পিতা- সরফত আলী, ৭। ফখরুল (৪৫), পিতা-রশিদ ৮। সাইকুল (৪২), পিতা-মৃত মজিদ, ৯। বাদল মিয়া (৪৫), পিতা-আইয়ুব আলী, ১০। কামাল (৩০) পিতা-মান্নান মিয়া সব সাং-কৈলাটী ১১। সোহেল (৩৫), পিতা-হেকিম, ১২। মোখলেছুর রহমান ভূইয়া (৩৫), পিতা- মৃত রইছ উদ্দিন ভূইয়া, উভয় সাং-সহিলাটি, সর্ব থানা-কেন্দুয়া জেলা-নেত্রকোনা অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন।
উক্ত বিষয়ে ইউনিয়ন প্রশাসক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রহিমা আক্তার এর ফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কেন্দুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মুঠোফোনে বলেন- অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। ভুক্তভোগীকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে সবুজ নামের এক সন্ত্রাসী।