নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে উৎসব-বন্ধন পরিবহনের ভাড়া ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক, গণস্বার্থবিরোধী এবং জনগণের সঙ্গে অবিচার বলে আখ্যায়িত করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, ক্রীড়া অনুরাগী ও ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
তিনি বৃহস্পতিবার ( ২১ আগস্ট) বিকেলে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, গত বছরের ৭ নভেম্বর দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে এই রুটের ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। অথচ মালিক পক্ষের অযৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভাড়া বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করা হয়েছে, যা জনগণের প্রতি অন্যায় ছাড়া কিছু নয়।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন - বাস মালিকরা ৫২ সিটের বাসকে ৪৫ সিট দেখিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের ওপর অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি বিধি এবং দূরত্ব ইউনিটের হিসাবে প্রকৃত ভাড়া ছিল ৪৫ টাকা। কিন্তু সমঝোতার স্বার্থে ৫০ টাকা মেনে নেওয়া হয়েছিল। এখন আবার ভাড়া বাড়ানো সরাসরি গণভোগান্তি বাড়ানো ছাড়া কিছু নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন- গত এক বছরে জ্বালানির দামও বাড়েনি। সুতরাং এই সময়ে ভাড়া বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। যদি এই ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে কোনো চাঁদাবাজি জড়িত থাকে, তবে তা দ্রুত জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত। জনগণের পকেট থেকে এক টাকাও অতিরিক্ত নেওয়া মানে অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেঈমানী।
বিএনপি নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ অবিলম্বে এই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসন ও বাস মালিক পক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। তিনি বলেন- শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের যাত্রীরা প্রতিদিন এই রুটে চলাচল করেন। তাদের কষ্টের টাকা থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।