মদন প্রতিনিধি এ এম শফি;

নেত্রকোনার হাওরের গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। টানা তিন দিন তাঁর নির্বাচনী এলাকা নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন ও খালিয়াজুরি) আসনের বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে গেছেন তিনি। এলাকার জনগণ তাদের প্রিয় নেতাকে ১৭বছর পর কাছে পেয়ে হয়েছেন উচ্ছ্বসিত। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে মোহনগঞ্জ, শনিবার হাওরদ্বীপ উপজেলা হিসেবে খ্যাত খালিয়াজুরিতে অবস্থান করেন। সেখানে স্পিডবোটের সাহায্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে লোকজনের খোঁজখবর নেন তিনি।

রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর নিজ উপজেলার মদনের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। সব প্রোগ্রাম শেষ তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মদন উপজেলার পৌর সদরের বাড়ি ভাদেরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে ২বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

আজ রবিবার তাঁর সঙ্গে মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি চানগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আলম তালুকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, পৌর বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির, উপজেলা যুবদলের সভাপতি রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, পৌর যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সেচ্চাসেবকদলের আহবায়ক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শেখ রিপন ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে গোবিন্দশ্রী, মাঘান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে বিকেলে মদন ইউনিয়নের উচিতপুর এলাকায় এসে লুৎফুজ্জামান বাবর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, শুধু বাবর ভাই স্লোগান দিলে হবে না। ১৭ বছর আমি জেলে ছিলাম। সেই সময়ে যারা শিশু ছিল, তারা এখন যুবক। এই যুবকদের তিনভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। ভালোভাবে পড়াশোনা করে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ব্যবসা করে। আর অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না ।

এর আগে দুপুরে জয়বাংলা বাজারে সমাবেশে বাবর বলেন, দলকে যারা ভালোবাসেন, পছন্দ করেন, দলের আদর্শ ধারণ করেন, তাদের দলের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে আপনাদের তা মানতে হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অনেক কঠিন পথ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সে জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে সব বিভেদ ভুলে সংগঠিত থাকবে হবে, ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

নিজের ওপর হওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বাবর বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলা মৃত্যুদণ্ডসহ সব রকমের সাজা দিয়েছিল আমাকে। আপনারা আমার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন, রোজা রেখেছেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ মুক্ত হয়ে আসতে পেরেছি। আপনাদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা আছে।