, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খুলনায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু। খুলনার রুপসায় ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার। আমতলীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড, সহযোগীর কারাদন্ড। কেন্দুয়ায় মাছের পোনা উন্মুক্ত বিতরণের মাধ্যমে মৎস্য সপ্তাহ সমাপ্তি। আজ অনুষ্ঠিত হলো ময়মনসিংহ জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির ৮ম সভা। কেন্দুয়ায় গর্ভবতী নারীকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ। আমতলীতে ছাত্রদলে যোগ দিলেন ৪ এনসিপি নেতা। রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন। মাধবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু। ময়মনসিংহ পিবিআই অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন।

  • প্রকাশের সময় : ২৪ ঘন্টা আগে
  • ২৮ পড়া হয়েছে

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে পড়ে শিশু নিহতের ঘটনায় বুধবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিন হয়। অভিযোগ উঠেছে মানববন্ধনটি বানচালের জন্য ইউএনও ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। অবশেষে অল্প সখ্যাক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধনটি শেষ হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ঠিকাদার মতিউর রহমান ও ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমানের অবহেলাজনিত অপরাধের বিচার দাবী করেন। বর্তমানে উত্তরগাঁও এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীর বালু তোলা অংশটি ব্যাপক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটির দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীকে বিপদ থেকে রক্ষা করার দাবী তোলা হয়। তারা আরো বলেন, ইউএনও যদি আইনভঙ্গ করে, তাহলে রক্ষা করবে কে? যেখানে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু তোলার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু চতুর ইউএনও উল্টো ঠিকাদারের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রামরায় পুকুরে নিয়ে এসেছেন। আর নদীর সেই গর্তে উত্তরগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শায়ান আহাম্মদ নদীতে খেলাধুলা করতে গিয়ে ড্রেজারের বালু তোলা গর্তে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে ড্রেজার মেশিনের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

নিহতের মা বিলকিস বেগম জানান, আমার ছেলের বিনিময়ে আমি কিছু চাইনা, যাদের অবহেলায় আমার সন্তানটি মারা গেছে তাদের বিচার চাই।

এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি অনন্ত দুঃখজনক। তবে ইউএনও বলেছেন সে বালু কিনে নিয়েছে। ইভার ব্যাংক প্রটেকশন প্রকল্পের আওতায় কনটাক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি যদি ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে বালু তোলে থাকে তাহলে সেটি বে-আইনি জেলা নির্বাহি প্রকৌশলী কে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।

জনপ্রিয়

খুলনায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু।

রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে শিশু নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন।

প্রকাশের সময় : ২৪ ঘন্টা আগে

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের গর্তে পড়ে শিশু নিহতের ঘটনায় বুধবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিন হয়। অভিযোগ উঠেছে মানববন্ধনটি বানচালের জন্য ইউএনও ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছে। অবশেষে অল্প সখ্যাক মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধনটি শেষ হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ঠিকাদার মতিউর রহমান ও ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমানের অবহেলাজনিত অপরাধের বিচার দাবী করেন। বর্তমানে উত্তরগাঁও এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীর বালু তোলা অংশটি ব্যাপক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটির দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীকে বিপদ থেকে রক্ষা করার দাবী তোলা হয়। তারা আরো বলেন, ইউএনও যদি আইনভঙ্গ করে, তাহলে রক্ষা করবে কে? যেখানে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু তোলার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কিন্তু চতুর ইউএনও উল্টো ঠিকাদারের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রামরায় পুকুরে নিয়ে এসেছেন। আর নদীর সেই গর্তে উত্তরগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শায়ান আহাম্মদ নদীতে খেলাধুলা করতে গিয়ে ড্রেজারের বালু তোলা গর্তে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে ড্রেজার মেশিনের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

নিহতের মা বিলকিস বেগম জানান, আমার ছেলের বিনিময়ে আমি কিছু চাইনা, যাদের অবহেলায় আমার সন্তানটি মারা গেছে তাদের বিচার চাই।

এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি অনন্ত দুঃখজনক। তবে ইউএনও বলেছেন সে বালু কিনে নিয়েছে। ইভার ব্যাংক প্রটেকশন প্রকল্পের আওতায় কনটাক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি যদি ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে বালু তোলে থাকে তাহলে সেটি বে-আইনি জেলা নির্বাহি প্রকৌশলী কে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।