
মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক নির্মান প্রকল্পের কাজ চালুর দাবিতে সড়কে ধানের চারা রোপন করে প্রতীকী প্রতিবাদ ও খুলনা উন্নয়ন কতৃপক্ষ ( কেডিএ) কে লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসুচি পালন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই ( নিসচা) মহানগর শাখা। কর্মসুচিতে খুলনার নাগরিক নেতা ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন। আজ ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে রুপসা সেতুর পশ্চিম পাশে শিপইয়ার্ড সড়কে এসব কর্মসুচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ( বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ( বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব ও দৈনিক আমার দেশের খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন।নিরাপদ সড়ক চাই ( নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ মো: নাসির উদ্দিন। এসময় প্রধান বক্তা ছিলেন, খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার। এসময় বক্তারা বলেন খুলনার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক রুপসা ট্রাফিক মোড় থেকে খানজাহানআলী (র:) সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় গর্ত, উঁচু, নিচু,ভাঙা চোরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। এসময় সড়ক নির্মান প্রকল্পের কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের গাফিলতি ও অনিয়মের কারনে সড়কের কাজ শেষ হয়নি। ফলে খুলনা উন্নয়ন কতৃপক্ষ ঔই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল করেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লুটপাটের কারনে যেটুকু কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা নিন্ম মানের। বর্তমানে সড়কটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে তাতে পানি জমেছে। সড়কের দুই পাশ খুঁড়ে বছরের পর বছর ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এক কথায় সড়কটি মৃত্যুফাদে পরিনত হয়েছে। প্রকল্পে এতো ধীরগতি ও ব্যর্থতার পরও কেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা প্রদান করা হলো? কেন তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হলো না? কেডিএর কাছে এমন প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। তারা অবিলম্বে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, শিপইয়ার্ড সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় দায় কেডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্স এড়াতে পারে না। এ প্রকল্পের সাথে যারা জড়িত সবার বিচার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দের প্রতি অবিলম্বে এই সড়কের কাজ সম্পন্নের আহবান জানিয়ে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির নির্মান কাজ পুনরায় চালু করা না হলে কেডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের বাড়ি ঘেরাও করার হুমকি দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের,বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার খুলনার সংবাদদাতা মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেডিএস) চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম শিমুল, দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার মোস্তফা কামাল, খুলনা ব্লাড ব্যাংক ও ফুড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সালেহ উদ্দিন সবুজ, উপদেষ্টা বঙ্গরাজ দোলোয়ার, ইউনাইটেড খুলনার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুর রহমান, ৩১ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ, সহকারী সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম উজ্জল, ইসলামী আন্দোলনের ৩১ নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি মোহাম্মাদ কবীর হোসেন, যুব আন্দোলনের সহ সভাপতি মোঃ লাবলু সরদার, ছাত্র দলের সদর থানার সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, রুপসা সেতু সংলগ্ন হক সুপার মার্কেটের সভাপতি মজিবর রহমান, যুবদল নেতা রেজাউল, নিসচা খুলনা মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মো: আবু মুছা, প্রচার সম্পাদক তানজীম আহমেদ, সমাজ কল্যান ও ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, কার্যনিবার্হী সদস্য হুমায়ুন কবীর, মো: এম এ সাদী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, রোদেলা আক্তার রেশমী, কাজী আব্দুল ওয়াহাব, মো: চুন্নু খন্দকার, হোসেন মাহমুদ বাচ্চু, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন স্বপন, ইউনানি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান।