
মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
চারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদক অভিযান চালিয়েছে। দুদক জানিয়েছে অভিযানকালে তিনটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। গতকাল সকালে দুদকের খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যর টিম অভিযান পরিচালনা করেন। টিমের অন্য দুজন সদস্য হলেন, উপ সহকারী পরিচালক শামীম রেজা ও রুবেল হোসেন। দুদকের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, চারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগ চারটি ছিল- প্রথমত: নির্ধারিত ৩ টাকা টিকিটের পরিবর্তে ৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যেটার সত্যাতা আমরা পেয়েছি। দ্ধিতীয়ত: ডাক্তাররা রোগীদের যে ব্যবস্থাপত্র দেন, ফার্মেসি থেকে সে ঔষধ প্রদান করা হয় না। আমাদের টিমের একজন রোগী সেজে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ফার্মেসিতে গিয়েছিল। সেখানে সচারাচর প্যারাসিটামল এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া কিছু দেওয়া হয় না। নাপা থাকা সত্ত্বেও সেটা দেওয়া হয় না। এটার সত্যতা আমরা পেয়েছি। তৃতীয়ত: এখানে আবাসিক রোগীদের খাবারের মান খুব নিন্ম মানের। আজকের যে ডায়েট ছিল সেখানে ৪৮০ টাকা মুল্যের যে রুই মাছ এবং চাউলের যে পরিমান বা কোয়ালিটির কথা বলা হয়েছে, তার থেকে আমরা নিন্ম মানের কোয়ালিটি পেয়েছি এবং পরিমানেও কম দিয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ ছিল ডাক্তাররা ঠিকমতো অফিস করেন না।১৬ জন ডাক্তারের ভেতর চারজন সংযুক্ত ছিল। একজন ডাক্তার ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছিলেন কিন্তু রেজিস্ট্রারে সাক্ষর করেননি। বাকিরা যারা আসেননি তারা আমাদের যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন। উনারা অন্যান্য জায়গায় ব্যাস্ত ছিলেন। কিন্তু অফিস আদেশ বলেই। তিনি বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আমরা দুদক কমিশন বরাবর রিপোর্ট দিব। কমিশন এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি। তিনি তার মতো করে ব্যাবস্থা নিবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জেসমিন আরা বলেন, জনবল কম থাকায় রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবার নিয়মিত পরিক্ষা করা সম্ভব হয় না। নির্ধারিত টিকিটের মুল্য থেকে বেশি নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সরবরাহকৃত ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক সময় ডাক্তারদের সর্ট স্লিপের ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। এদিকে রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রাখী এন্টারপ্রাইজের তত্ত্বাধিকারী মো: সেলিম সরদার বলেন, সরকার নির্ধারিত পরিমান অনুযায়ী সব কিছুই সরবরাহ করি।