
নিজস্ব প্রতিনিধি;
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ভয়াবহ এক ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দেশের আইনজীবী ও সচেতন মহল। গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে এনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও-ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
এমন বিভৎস ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আইনজীবী নূর জাহান মুন্না তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন—
> “ প্লিজ আমাদেরকে মেরে ফেলেন। প্রতিদিন এমন অসুস্থ, হিংস্র, বর্বর, পৈশাচিক দেশে মানুষের বিভৎস জানোয়ারের মতো রূপ দেখার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। থু দিই এমন মানুষের গায়ে।
বিক্ষুব্ধ জনতা মানে কী? লাশের সঙ্গে এদের শত্রুতা কী? সে যেই হোক না কেন! এই মব একদিন বুমেরাং হবে। অসভ্য মানুষের দেশ আজ পিশাচও লজ্জা পাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গভীর রাতে কিছু ব্যক্তি কবর খুঁড়ে মরদেহ বের করে এনে মহাসড়কে আগুন দিয়ে দেয়। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরাও। তাদের মতে এটি কেবল একটি মরদেহ অবমাননা নয়, বরং গোটা মানবতার প্রতি চরম আঘাত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
ঘটনাটি দেশের সচেতন মহলে এক নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
আমরা কেমন সমাজে বাস করছি, যেখানে মৃত মানুষেরও মর্যাদা রক্ষা করা যায় না?