মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
অসদাচরন ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি বিধিমালায় বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৬ আগষ্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, শৃঙ্খলা অধিশাখার সচিব ডাঃ সুজাত আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। ডাঃ সুজাত আহমেদ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ- পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরের গত ২৬ আগষ্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, শৃঙ্খলা অধিশাখার সচিব মো: সাইদুর রহমান সাক্ষরিত " অভিযোগ নামায় " উল্লেখ করা হয় - ডাঃ সুজাত আহমেদ, সিভিল সার্জন ( চলতি দায়িত্বে) খুলনায় কর্মরত ছিলেন। আপনাকে ২০২০ সালের ২৪ আগষ্ট ৮২১ নং স্মারক মোতাবেক ডাঃ সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য বিভাগের পার- ২ শাখা হতে নতুন কর্মস্থল সিভিল সার্জন ( চলতি দায়িত্ব) গোপালগঞ্জ হিসেবে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিলিজ হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য বদলির আদেশ দেওয়া হয়, আপনি আদেশ মোতাবেক ৮ম দিনে স্টান্ড রিলিজ হয়েছেন। আপনি মন্ত্রণালয়ের বদলির আদেশ অমান্য করে রিলিজ হওয়ার সত্ত্বেও ২০২০-২২ সালের জন্য আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে দরপত্র আহবান এবং কার্যাদেশ প্রদান করেন এবং হাইকোর্টের আদেশ অমান্য ও পিপিআর লঙ্ঘন করেন। আপনার কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) মোতাবেক অসদাচরন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হলো এবং কেন আপনাকে উক্ত বিধিমালার অধীনে চাকরি থেকে বরখাস্তকরন অথবা অন্য কেন গুরুদন্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে ডাঃ সুজিত আহমেদকে এ নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে আপনি ব্যাক্তিগত শুনানি চান, কিনা তাও জানাতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুমেক হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাগেছে, খুলনা সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বর্তমান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ- পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার এই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আউটসোর্সিংয়ের ঠিকাদারের কতিপয় লোকজন ইসলাম সহ বিভিন্ন ব্যাক্তির তার কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য পায়তারা করছেন।