, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬।

কেন্দুয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহেদ এর অবৈধ বসবাস ।

  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ৫৮ পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন,নেত্রকোনা জেলা ক্রাইম রিপোর্টারঃ

কেন্দুয়া উপজেলাধীন বলাইশিমুল ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের ভুমিহীন লোকদের বসবাস আশ্রয়ন নামক প্রকল্প লস্করপুর গ্রামে থাকলেও সেখানে থাকছে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু জাহেদ ও তার পরিবারবর্গ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-লস্করপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ৫টি পরিবারের নাম থাকলেও বসতি আছে ২জন।

১/ ছখিনা,২/ ইসলাম উদ্দিন।

বায়েজিদ মিয়া নামের ১টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও তাঁকে ঘর দেওয়া হয় নাই। সে আবু জাহেদ এর ভয়ে কিছু বলতে চায়নি।

বাকী ঘর গুলো অন্যদের নামে বরাদ্দ ঠিকই কিন্তু ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহেদ।

কিছু সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়- আবু জাহেদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদধারী থাকলেও তার ক্ষমতা ছিল সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী অপু উকিল।

তার নির্দেশনায় এই ওয়ার্ড তথা পুরো ইউনিয়ন ছিল তার অনেকটাই দখলে।

লস্করপুর জেলা পরিষদ নামক পুকুর থাকলেও দখলে ছিল আবু জাহেদ এর।

এখনো এই পুকুর সাইডগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করে দখলে নিচ্ছে এটা সবার জানা।

এ বিষয়ে ০৮/০১/২০২৫ইং তাং কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয়নাই।

এই বিষয় জানতে চাইলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহেদ স্বীকার করে বলেন- আমি দুই তিন মাস যাবৎ বসবাস করছি, সরকারি কোন কর্মকর্তাদের কাছে থেকে অনুমতি নেই নাই। আমি ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে বলে ছিলাম।

এ বিষয় উক্ত ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ কেনু মিয়া বলেন- আমি বিষয়টি জানি,তবে তাকে আমি থাকার অনুমতি দেইনাই। তার ঘরের জায়গা নেই বলে এই প্রকল্পে জায়গা করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামল থেকেই এই ঘরে বসবাস করছে।

এই বিষয়ে বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ (চেয়ারম্যান) প্রশাসক সাহাদাৎ হোসেন বলেন- আমি বিষয়টি জানিনা, বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডক্টর ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন- এই বিষয়টি আমি জানিনা,তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

জনপ্রিয়

কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ।

কেন্দুয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহেদ এর অবৈধ বসবাস ।

প্রকাশের সময় : ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন,নেত্রকোনা জেলা ক্রাইম রিপোর্টারঃ

কেন্দুয়া উপজেলাধীন বলাইশিমুল ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের ভুমিহীন লোকদের বসবাস আশ্রয়ন নামক প্রকল্প লস্করপুর গ্রামে থাকলেও সেখানে থাকছে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু জাহেদ ও তার পরিবারবর্গ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-লস্করপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ৫টি পরিবারের নাম থাকলেও বসতি আছে ২জন।

১/ ছখিনা,২/ ইসলাম উদ্দিন।

বায়েজিদ মিয়া নামের ১টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও তাঁকে ঘর দেওয়া হয় নাই। সে আবু জাহেদ এর ভয়ে কিছু বলতে চায়নি।

বাকী ঘর গুলো অন্যদের নামে বরাদ্দ ঠিকই কিন্তু ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহেদ।

কিছু সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়- আবু জাহেদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদধারী থাকলেও তার ক্ষমতা ছিল সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী অপু উকিল।

তার নির্দেশনায় এই ওয়ার্ড তথা পুরো ইউনিয়ন ছিল তার অনেকটাই দখলে।

লস্করপুর জেলা পরিষদ নামক পুকুর থাকলেও দখলে ছিল আবু জাহেদ এর।

এখনো এই পুকুর সাইডগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করে দখলে নিচ্ছে এটা সবার জানা।

এ বিষয়ে ০৮/০১/২০২৫ইং তাং কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয়নাই।

এই বিষয় জানতে চাইলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহেদ স্বীকার করে বলেন- আমি দুই তিন মাস যাবৎ বসবাস করছি, সরকারি কোন কর্মকর্তাদের কাছে থেকে অনুমতি নেই নাই। আমি ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে বলে ছিলাম।

এ বিষয় উক্ত ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ কেনু মিয়া বলেন- আমি বিষয়টি জানি,তবে তাকে আমি থাকার অনুমতি দেইনাই। তার ঘরের জায়গা নেই বলে এই প্রকল্পে জায়গা করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামল থেকেই এই ঘরে বসবাস করছে।

এই বিষয়ে বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ (চেয়ারম্যান) প্রশাসক সাহাদাৎ হোসেন বলেন- আমি বিষয়টি জানিনা, বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডক্টর ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন- এই বিষয়টি আমি জানিনা,তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।