, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬।

ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্ত কুয়েট শিক্ষক সমিতির। 

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৯০ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

টানা চারমাস বন্ধ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) র একাডেমিক কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সহস্ত্রাধীক শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে যারা যারা সাড়ে পাঁচ বছর ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন, তারা সহ সকল শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ঠিক একইভাবে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্ধিগ্ন ও হতাশ অভিভাবকরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের এ অচলাবস্থা নিরসনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ( ইউজিসির) চেয়ারম্যান কুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ফোন করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার অনুরোধ জানানোর পর শিক্ষার্থীদের ভেতর আশার আলো জেগেছিল আজ হয়ত শিক্ষক সমিতির সভা থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কিন্তু শিক্ষক সমিতির ঔই সভায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা তাদের পুর্বের অবস্থানে অটল রয়েছেন। বরং সভা থেকে অতিদ্রুত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। সোমবার ২৩ জুন সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে করনীয় নির্ধারন ঠিক করতে শিক্ষক সমিতির এই সভা শুরু হয়, চলে বেলা ১ টা পর্যন্ত। সভায় সভাপতিত্ব করেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সাহিদুল ইসলাম। সভা শেষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য দ্রত ভিসি নিয়োগ দিতে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষকদের পুর্বের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। সভায় শিক্ষকরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর দরকার। তার অবর্তমানে অনেক সিদ্ধান্ত এবং সংকট নিরসন দেওয়া সম্ভব নয়। একারনে শিক্ষক সমিতি সরকারের কাছে অবিলম্বে একজন ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেবার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। সুতারাং ক্লাস আপাতত চালু হচ্ছে না। সভা শেষে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. নুরুন্নবী মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমাদের সংসদ থেকে পাশ করা যে আইন, ঐ আইনে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক দায়ভার উনার উপর। আমরা কিন্তু শুরু করতে চাই, বাট উই নিড এ লিডার। আমরা করতে গেলে কে এপ্রুভাল দেবে। একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডার লাগবে। কে দিবে। প্রথম বর্ষের ক্লাস কখন শুরু হবে। এই ম্যাসেজটা বুঝতে পারছি না। ভিসি আসা মানে ক্লাসে যাওয়ার রাস্তা তৈরি হওয়া। এজন্য সরকারকে দ্রুত ভিসি নিয়োগ দিতে হবে। এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছাত্র কল্যান কমিটির রেজিস্ট্রার বরাবর প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত চালুর আবেদন করেছেন। ঔই আবেদনে উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার যে সিদ্ধান্ত সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা সেশনজটে পড়ে আছি। সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন ভিসি না থাকায় আপনি আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবকের দায়িত্বে আছেন। সিন্ডিকেটের এই সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। দীর্ঘ দিন ক্লাস না হওয়ায় সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্ধিগ্ন অভিভাবকরাও। সোমবার ফোন করে এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, কুয়েটের দায়িত্বশীল কেউ ফোনও ধরেন না। তিনি অবিলম্বে ক্লাস শুরুর দাবি জানান। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অচলাবস্থা নিরসনে ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদিসহ অন্যান্য আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখার সার্থে বিকল্প নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর ২২ জুন চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয়

কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ।

ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্ত কুয়েট শিক্ষক সমিতির। 

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

টানা চারমাস বন্ধ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) র একাডেমিক কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সহস্ত্রাধীক শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে যারা যারা সাড়ে পাঁচ বছর ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন, তারা সহ সকল শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ঠিক একইভাবে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্ধিগ্ন ও হতাশ অভিভাবকরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের এ অচলাবস্থা নিরসনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ( ইউজিসির) চেয়ারম্যান কুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ফোন করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার অনুরোধ জানানোর পর শিক্ষার্থীদের ভেতর আশার আলো জেগেছিল আজ হয়ত শিক্ষক সমিতির সভা থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কিন্তু শিক্ষক সমিতির ঔই সভায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা তাদের পুর্বের অবস্থানে অটল রয়েছেন। বরং সভা থেকে অতিদ্রুত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। সোমবার ২৩ জুন সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে করনীয় নির্ধারন ঠিক করতে শিক্ষক সমিতির এই সভা শুরু হয়, চলে বেলা ১ টা পর্যন্ত। সভায় সভাপতিত্ব করেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সাহিদুল ইসলাম। সভা শেষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য দ্রত ভিসি নিয়োগ দিতে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষকদের পুর্বের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। সভায় শিক্ষকরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর দরকার। তার অবর্তমানে অনেক সিদ্ধান্ত এবং সংকট নিরসন দেওয়া সম্ভব নয়। একারনে শিক্ষক সমিতি সরকারের কাছে অবিলম্বে একজন ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেবার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। সুতারাং ক্লাস আপাতত চালু হচ্ছে না। সভা শেষে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. নুরুন্নবী মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমাদের সংসদ থেকে পাশ করা যে আইন, ঐ আইনে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক দায়ভার উনার উপর। আমরা কিন্তু শুরু করতে চাই, বাট উই নিড এ লিডার। আমরা করতে গেলে কে এপ্রুভাল দেবে। একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডার লাগবে। কে দিবে। প্রথম বর্ষের ক্লাস কখন শুরু হবে। এই ম্যাসেজটা বুঝতে পারছি না। ভিসি আসা মানে ক্লাসে যাওয়ার রাস্তা তৈরি হওয়া। এজন্য সরকারকে দ্রুত ভিসি নিয়োগ দিতে হবে। এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছাত্র কল্যান কমিটির রেজিস্ট্রার বরাবর প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত চালুর আবেদন করেছেন। ঔই আবেদনে উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার যে সিদ্ধান্ত সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা সেশনজটে পড়ে আছি। সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন ভিসি না থাকায় আপনি আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবকের দায়িত্বে আছেন। সিন্ডিকেটের এই সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। দীর্ঘ দিন ক্লাস না হওয়ায় সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্ধিগ্ন অভিভাবকরাও। সোমবার ফোন করে এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, কুয়েটের দায়িত্বশীল কেউ ফোনও ধরেন না। তিনি অবিলম্বে ক্লাস শুরুর দাবি জানান। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অচলাবস্থা নিরসনে ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদিসহ অন্যান্য আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখার সার্থে বিকল্প নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর ২২ জুন চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ।