
নিজস্ব প্রতিবেদক, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা):
জুলাই শহীদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বীর জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে এক স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে এক মিনিট নীরবতা পালন ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইউনুস আলী, ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিন সরকার, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া এবং কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হাই সেলিম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান।
স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন—
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মজনু, প্রেসক্লাব সভাপতি সেকুল ইসলাম খান, উপজেলা জামায়াতের আমির সাদেকুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. সালাহ উদ্দিন সালাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক মো. নুরুল হক, ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হারুন অর রশিদ ফারুকী, সাবেরুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বাঙালি, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. এখলাছ উদ্দিন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শান্তি খান, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম, জুলাই যুদ্ধাহত যোদ্ধা সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাসাম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, “জুলাই যোদ্ধারা ছিলেন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার এক সাহসী অধ্যায়। তাদের আত্মত্যাগ জাতির জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু আজও তাদের অবদান রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়নি। আমরা চাই, তাদের নাম ইতিহাসে মর্যাদার সঙ্গে উচ্চারিত হোক, এবং পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের সংগ্রাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়।”
আলোচনা সভা শেষে জুলাই যোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, প্রতিবছরই জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে নিয়মিতভাবে এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।