
নেত্রকোনা প্রতিনিধি;
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিগলী গ্রামে ১৯ শতাংশ জমি দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার একদল প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তাঁর পরিবার বৈধ কাগজপত্রসহ দীর্ঘদিন ধরে জমিটি ভোগদখলে রেখেছেন। তবুও পাশের বাড়ির লোকজন রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এসময় ভয়ভীতি প্রদর্শনের পাশাপাশি সরাসরি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।
ওয়াহিদুজ্জামানের অভিযোগ, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, মোঃ ফজলুল হক এন্টাস ,মোঃ আবুল কালাম ও তার স্ত্রী হাসনা আক্তার ,মোঃ বাবলু মিয়া ও তার স্ত্রী, মোঃ সোকেল মিয়া ও তার স্ত্রী, মোছাঃ শান্তু আক্তার, মোছাঃ বেদেনা আক্তার সহ আরো বেশকয়েক জন।
তিনি জানান, প্রথমে জামায়াত-শিবিরের নাম ব্যবহার করে তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হলেও পরে নিশ্চিত হওয়া যায় যে জামায়াতের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি। এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা জামায়াতের আমিরও বলেছেন, সুরুজ আলী মেম্বারের জমি দখলের চেষ্টা করছে অভিযুক্তরা, আমাদের দলের নাম ভাঙিয়ে।
এলাকাবাসীও জানিয়েছেন, মৃত সুরুজ আলী মেম্বার জীবদ্দশায় জমিটি বৈধভাবে ক্রয় করে ভোগদখল করে এসেছেন। এখন প্রভাবশালী মহল তা দখলের চেষ্টা করছে এবং পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী পরিবারে কোনো পুরুষ বাড়িতে থাকে না, দুই ভাইয়ের স্ত্রী এবং তার বোন ম্যাডাম থাকে। তাদের বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে । চাঁদা দাবি করে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য দিগলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন সুলতানা জানান, লাগাতার হুমকি ও চাঁদাবাজির কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।