, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

বিলডাকাডিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা নিরসনে সমীক্ষা চলছে : বাপাউবোর মহাপরিচালক এনায়েত উল্লাহ।

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
  • ৫৩ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ( বাপাউবো) মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: এনায়েত উল্লাহ বলছেন, বিলডাকাতিয়ার দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার সম্ভাব্য সমীক্ষা ( ফিজিবিলিটি স্টাডী) শুরু করেছে। ডুমুরিয়া শৈলমারী নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য নদী ড্রেজিং, ২৪ টি খাল পুন: খনন এবং ভবদহ সহ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প গুলোর ওপর সমীক্ষা চলছে। সমম্বিত টোটাল এলাকার পানি কিভাবে নিস্কাশন করা যায় সেই লক্ষ্যে নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান হবে। আজ ২৩ আগষ্ট সকালে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে ডুমুরিয়ার শৈলমারী রেগুলেটর পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন, এরপর তিনি কালিঘাট রেগুলেটর, রংপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পানিবন্দি এলাকা ও হামকুড়া নদীর অববাহিকা ৯১ এর কাটিং পয়েন্ট ( সন্ধার খাল) পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিলডাকাতিয়ার পানি কালিঘাট রেগুলেটর দিয়ে ময়ুর নদীতে নিস্কাশনে পুর্বে যে বাধা ছিল, তা উভয় পক্ষের সমন্বয়ে শান্তিপুর্ন সমাধান পুর্বক রেগুলেটর খুলে পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থা গ্রহণ এবং কালীঘাট খালের অবৈধ বাধ অপসারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। এদিকে মৃত হামাকুড়া নদী পুনরুজ্জীবিত সহ সংশ্লিষ্ট বিল গুলোতে টি আর এম প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান এলাকাবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপাউবোর মহাপরিচালকের সফর সঙ্গী ডিজাইন সার্কেল- ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মাদ সাইফ উদ্দিন,পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চল খুলনার প্রধান প্রকৌশলী মো: আমিনুল ইসলাম, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আল আমিন, ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার ( ভুমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, এসডি মো: আতিকুর রহমান, গুটুদিয়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসার সরদার জাহিদুর রহমান, এসও তরিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হামিদুর ইসলাম ও অজয় বিশ্বাস, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জি এম আমানুল্লাহ, জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মোক্তার হোসাইন, জেলা কৃষক দল সভাপতি মোল্লা কবির হোসেন, রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ মন্ডল, মোল্লা মাহবুবুর রহমান, জিএম সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রসঙ্গত ১৯৮৮ সাল থেকে বিলডাকাতিয়ার মানুষ পানির সাথে সংগ্রাম করে বেচে আসছে। গত দুই বছর ধরে ভয়াবহ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বিলতাকাতিয়া সহ ডুমুরিয়া – ফুলতলা উপজেলার একটি বৃহৎ অংশ। এসব অঞ্চলে পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ শৈলমারী ১০ ভেল্ট রেগুলেটর। সম্প্রতি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে শৈলমারী ও ভদ্রা নদী। যার কারনে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দে শৈলমারী গেটের মুখ থেকে সালতা মোহনা পর্যন্ত পলি অপসারনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া পানি নিস্কাশনের জন্য দুটি ৩৫ কিউসেক পাম্প চালু আছে। যা জোয়ারে চালানো হয় এবং ভাটায় জলকপাট দিয়ে পানি বের করা হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে শৈলমারী নদীর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাচটি পাম্প স্থাপন এবং ২৪ টি খাল পুন: খনন প্রকল্পের সমীক্ষা এখোনো শেষ হয়নি।

জনপ্রিয়

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

বিলডাকাডিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা নিরসনে সমীক্ষা চলছে : বাপাউবোর মহাপরিচালক এনায়েত উল্লাহ।

প্রকাশের সময় : ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ( বাপাউবো) মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: এনায়েত উল্লাহ বলছেন, বিলডাকাতিয়ার দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার সম্ভাব্য সমীক্ষা ( ফিজিবিলিটি স্টাডী) শুরু করেছে। ডুমুরিয়া শৈলমারী নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য নদী ড্রেজিং, ২৪ টি খাল পুন: খনন এবং ভবদহ সহ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প গুলোর ওপর সমীক্ষা চলছে। সমম্বিত টোটাল এলাকার পানি কিভাবে নিস্কাশন করা যায় সেই লক্ষ্যে নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান হবে। আজ ২৩ আগষ্ট সকালে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে ডুমুরিয়ার শৈলমারী রেগুলেটর পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন, এরপর তিনি কালিঘাট রেগুলেটর, রংপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পানিবন্দি এলাকা ও হামকুড়া নদীর অববাহিকা ৯১ এর কাটিং পয়েন্ট ( সন্ধার খাল) পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিলডাকাতিয়ার পানি কালিঘাট রেগুলেটর দিয়ে ময়ুর নদীতে নিস্কাশনে পুর্বে যে বাধা ছিল, তা উভয় পক্ষের সমন্বয়ে শান্তিপুর্ন সমাধান পুর্বক রেগুলেটর খুলে পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থা গ্রহণ এবং কালীঘাট খালের অবৈধ বাধ অপসারনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। এদিকে মৃত হামাকুড়া নদী পুনরুজ্জীবিত সহ সংশ্লিষ্ট বিল গুলোতে টি আর এম প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান এলাকাবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপাউবোর মহাপরিচালকের সফর সঙ্গী ডিজাইন সার্কেল- ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মাদ সাইফ উদ্দিন,পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চল খুলনার প্রধান প্রকৌশলী মো: আমিনুল ইসলাম, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আল আমিন, ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার ( ভুমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, এসডি মো: আতিকুর রহমান, গুটুদিয়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসার সরদার জাহিদুর রহমান, এসও তরিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হামিদুর ইসলাম ও অজয় বিশ্বাস, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জি এম আমানুল্লাহ, জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মোক্তার হোসাইন, জেলা কৃষক দল সভাপতি মোল্লা কবির হোসেন, রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ মন্ডল, মোল্লা মাহবুবুর রহমান, জিএম সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রসঙ্গত ১৯৮৮ সাল থেকে বিলডাকাতিয়ার মানুষ পানির সাথে সংগ্রাম করে বেচে আসছে। গত দুই বছর ধরে ভয়াবহ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বিলতাকাতিয়া সহ ডুমুরিয়া – ফুলতলা উপজেলার একটি বৃহৎ অংশ। এসব অঞ্চলে পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ শৈলমারী ১০ ভেল্ট রেগুলেটর। সম্প্রতি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে শৈলমারী ও ভদ্রা নদী। যার কারনে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দে শৈলমারী গেটের মুখ থেকে সালতা মোহনা পর্যন্ত পলি অপসারনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া পানি নিস্কাশনের জন্য দুটি ৩৫ কিউসেক পাম্প চালু আছে। যা জোয়ারে চালানো হয় এবং ভাটায় জলকপাট দিয়ে পানি বের করা হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে শৈলমারী নদীর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাচটি পাম্প স্থাপন এবং ২৪ টি খাল পুন: খনন প্রকল্পের সমীক্ষা এখোনো শেষ হয়নি।