, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনায় পারিবারিক কলহের জেরে যুবদল নেতা খুন, আদালতে স্ত্রীর স্বীকারোক্তি। 

  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
  • ১১ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

পারিবারিক কলহের কারনে নিজের স্বামীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য মামাতো ভাইকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয় সে। পরবর্তীতে তার দেখানো কায়দায় মামাতো ভাই তালা ৭ নং ইসলাম কাঠি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শামীমকে হত্যা করা হয়। আজ সকাল ১১ টায় খুলনা এসপি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এমনই বক্তব্যে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন। আদালতে বৃষ্টির দেওয়া ১৬৪ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের আরো জানান, বিয়ের পর থেকে সে স্বামীর সাথে সুখী ছিল না। প্রায়ই তাকে মারধর করতো শামীম। মারধরের ঘটনা থেকে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর ক্ষোভ মিটাতে গিয়ে শামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে বৃষ্টি। শামীমকে হত্যার তিন দিন আগে মামাতো ভাইকে বাড়িতে ডেকে নেয়। হত্যাকান্ডের আগের দিন বৃষ্টি তার তার মামাতো ভাইকে শারীরিক নির্যাতনের কথা জাানায়। এজন্য স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে বলে বৃষ্টি তার ভাইকে জানায়। হত্যাকান্ডের দিন খাবার খেয়ে শামীম ও তার স্ত্রী তৃতীয় তলায় ফাকা ফ্লাটে আসে। এর কিছুক্ষন পর বৃষ্টির ভাই ঔই ফ্লাটে আসেন। কিভাবে কোপ দিতে হবে তা বৃষ্টি ইশারায় দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে শামীমের ঘাড়ে কোপ দেয় ওবায়দুল্লাহ। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মৃত্যু হয়। হত্যাকান্ডের পর তারা দুজন আবারো ছাদে যায়। হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত ছুরিটি পাশ্ববর্তী জলাশয়ে ফেলে দেয় এবং তারা দুজনই পুনরায় দ্ধিতীয় তলায় এসে শামীমের মায়ের সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে থাকে। তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডটি ক্লুলেস ছিল। তাছাড়া নিহত শামীমের মা রশিদা খাতুন এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একটি চৌকস দল কাজ করে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে শামীমের স্ত্রী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। বৃষ্টির মামাতো ভাইয়ের বয়স কম হওয়ায় তাকে যশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত ১১ দিকে ডুমুরিয়ার আঠালো মাইল এলাকার তিন তলায় নিজ বাড়িতে খুন হন যুবদল নেতা শামীম হোসেন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকোটে হত্যা করা হয়। নিহত শামীম তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। গত রোববার বিকালে নিহত যুবদল নেতার মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রশিদা বেগম অজ্ঞাত আসামি দের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। তদন্তে শামীমের মাদক সংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক লেনদেন ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছিল।

জনপ্রিয়

দৈনিক সাম্যবাদী নিউজ

খুলনায় পারিবারিক কলহের জেরে যুবদল নেতা খুন, আদালতে স্ত্রীর স্বীকারোক্তি। 

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

পারিবারিক কলহের কারনে নিজের স্বামীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য মামাতো ভাইকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয় সে। পরবর্তীতে তার দেখানো কায়দায় মামাতো ভাই তালা ৭ নং ইসলাম কাঠি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শামীমকে হত্যা করা হয়। আজ সকাল ১১ টায় খুলনা এসপি অফিসে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এমনই বক্তব্যে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন। আদালতে বৃষ্টির দেওয়া ১৬৪ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের আরো জানান, বিয়ের পর থেকে সে স্বামীর সাথে সুখী ছিল না। প্রায়ই তাকে মারধর করতো শামীম। মারধরের ঘটনা থেকে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর ক্ষোভ মিটাতে গিয়ে শামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে বৃষ্টি। শামীমকে হত্যার তিন দিন আগে মামাতো ভাইকে বাড়িতে ডেকে নেয়। হত্যাকান্ডের আগের দিন বৃষ্টি তার তার মামাতো ভাইকে শারীরিক নির্যাতনের কথা জাানায়। এজন্য স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে বলে বৃষ্টি তার ভাইকে জানায়। হত্যাকান্ডের দিন খাবার খেয়ে শামীম ও তার স্ত্রী তৃতীয় তলায় ফাকা ফ্লাটে আসে। এর কিছুক্ষন পর বৃষ্টির ভাই ঔই ফ্লাটে আসেন। কিভাবে কোপ দিতে হবে তা বৃষ্টি ইশারায় দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে শামীমের ঘাড়ে কোপ দেয় ওবায়দুল্লাহ। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মৃত্যু হয়। হত্যাকান্ডের পর তারা দুজন আবারো ছাদে যায়। হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত ছুরিটি পাশ্ববর্তী জলাশয়ে ফেলে দেয় এবং তারা দুজনই পুনরায় দ্ধিতীয় তলায় এসে শামীমের মায়ের সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে থাকে। তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডটি ক্লুলেস ছিল। তাছাড়া নিহত শামীমের মা রশিদা খাতুন এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একটি চৌকস দল কাজ করে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে শামীমের স্ত্রী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। বৃষ্টির মামাতো ভাইয়ের বয়স কম হওয়ায় তাকে যশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত ১১ দিকে ডুমুরিয়ার আঠালো মাইল এলাকার তিন তলায় নিজ বাড়িতে খুন হন যুবদল নেতা শামীম হোসেন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকোটে হত্যা করা হয়। নিহত শামীম তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। গত রোববার বিকালে নিহত যুবদল নেতার মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রশিদা বেগম অজ্ঞাত আসামি দের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। তদন্তে শামীমের মাদক সংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক লেনদেন ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছিল।