, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুর্দিনের হিলালি ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই” — কেন্দুয়ায় ড. হিলালীর সংবর্ধনায় নেতা-কর্মীদের ঢল। হাটহাজারীতে ইজরায়েল পরিবার এর দাপট: লুটপাট-চাঁদাবাজি ও জবরদখলের অভিযোগে মামলা, সাংবাদিকতার আড়ালে অপরাধ ঢাকার চেষ্টা! কালিয়াকৈরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঢাকা সাভারে রং মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১  জয়পুরহাটে মাসব্যাপী কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন তারুণ্যের অধিকার বিষয়ক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে নেত্রকোনা যুবদলের প্রস্তুতি সভা ময়মনসিংহ জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ কলমাকান্দায় সানমুন বহুমুখী সমবায় সমিতির ঈদ সামগ্রী ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কেন্দুয়ায় নওপাড়া পাঁকাঘাট বড় পুকুরের পাড় ভেঙে সাধারণ মানুষের কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি 

তেরখাদায় ছয়মাস নেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কার্যক্রমে স্থবিরতা। 

  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • ৪৭ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : তেরখাদায় গত ৬ মাস মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেই। এতে চরম ব্যাঘাত ঘটছে উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমে। ছয় মাস আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর আর কোন শিক্ষা কর্মকর্তার পোস্টিং হয়নি তেরখাদা উপজেলায়। এ সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদ ছাড়াও ৭ টি পদের মধ্যে ৪ টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। একাডেমিক সুপারভাইজার, হিসাব সহকারী ও পিয়নকে দিয়েই কোন মতে চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, রুপসা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভীনকে তেরখাদায় অতিরিক্ত দায়িত্বে দিলেও ৩ মাস পর তিনি চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে বটিয়াঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাহিদুর রহমানকে তেরখাদা ও রুপসা অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এতে শিক্ষা কার্যক্রমে যে ব্যঘাত হচ্ছে তা পুরোপুরি কাটেনি। ফলে শিক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে যেমন, এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম, প্রধান শিক্ষকদের কাজে সহযোগিতা করা, সরকারি নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুসরন এবং বাস্তবায়ন করা, বিদ্যালয় পরিদর্শন করা, উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ শুন্য পদগুলো পুরনের জোর দাবি শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের।আদমপুর – বলদ্ধনা – শালিকদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইকরাম হোসেন বলেন, ছয় মাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তেরখাদায় শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দরকার। শহীদপুর খান এ সবুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। ভোগান্তি নিরসনে উপজেলায় একজন স্থায়ী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। কুশলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপবৃত্তির ওয়েবসাইটে লগইন করার ওটিপি সংক্রান্ত সমস্যার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপবৃত্তির আবেদন করতে পারছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে দ্রুত একজন স্থায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো: ফারুকুল ইসলাম বলেন, তেরখাদা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার খালিপদে আপাতত বটিয়াঘাটায় যিনি দায়িত্বে আছেন তাকে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকার কারনে শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানান জটিলতা হচ্ছে। চেষ্টা করছি তেরখাদায় শিক্ষা কর্মকর্তার শুন্য পদে কর্মকর্তা দিতে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে।

জনপ্রিয়

দুর্দিনের হিলালি ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই” — কেন্দুয়ায় ড. হিলালীর সংবর্ধনায় নেতা-কর্মীদের ঢল।

তেরখাদায় ছয়মাস নেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কার্যক্রমে স্থবিরতা। 

প্রকাশের সময় : ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো : তেরখাদায় গত ৬ মাস মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেই। এতে চরম ব্যাঘাত ঘটছে উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমে। ছয় মাস আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পর আর কোন শিক্ষা কর্মকর্তার পোস্টিং হয়নি তেরখাদা উপজেলায়। এ সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদ ছাড়াও ৭ টি পদের মধ্যে ৪ টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। একাডেমিক সুপারভাইজার, হিসাব সহকারী ও পিয়নকে দিয়েই কোন মতে চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, রুপসা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইরিন পারভীনকে তেরখাদায় অতিরিক্ত দায়িত্বে দিলেও ৩ মাস পর তিনি চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে বটিয়াঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাহিদুর রহমানকে তেরখাদা ও রুপসা অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এতে শিক্ষা কার্যক্রমে যে ব্যঘাত হচ্ছে তা পুরোপুরি কাটেনি। ফলে শিক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে যেমন, এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম, প্রধান শিক্ষকদের কাজে সহযোগিতা করা, সরকারি নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুসরন এবং বাস্তবায়ন করা, বিদ্যালয় পরিদর্শন করা, উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা ইত্যাদি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ শুন্য পদগুলো পুরনের জোর দাবি শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের।আদমপুর – বলদ্ধনা – শালিকদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইকরাম হোসেন বলেন, ছয় মাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তেরখাদায় শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দরকার। শহীদপুর খান এ সবুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। ভোগান্তি নিরসনে উপজেলায় একজন স্থায়ী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। কুশলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপবৃত্তির ওয়েবসাইটে লগইন করার ওটিপি সংক্রান্ত সমস্যার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপবৃত্তির আবেদন করতে পারছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে দ্রুত একজন স্থায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো: ফারুকুল ইসলাম বলেন, তেরখাদা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার খালিপদে আপাতত বটিয়াঘাটায় যিনি দায়িত্বে আছেন তাকে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকার কারনে শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানান জটিলতা হচ্ছে। চেষ্টা করছি তেরখাদায় শিক্ষা কর্মকর্তার শুন্য পদে কর্মকর্তা দিতে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে।