, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬। কেন্দুয়ায় নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীম এর পরিবারের পাশে ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী।

কেন্দুয়ায় সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ: সাবেক মেয়রসহ ৪৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

 

রেজুয়ান হাসান জয় , নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

রাজনৈতিক উত্তেজনা আর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ঠেকাতে রাস্তায় নেমে আসে সহিংসতার এক ভয়াল রূপ। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ সব মিলিয়ে কেন্দুয়া যেন একদিনে রূপ নেয় অস্থিরতার নগরীতে। আর সেই ঘটনার জের ধরেই এবার থানায় দায়ের হলো একটি বিস্তৃত অভিযোগপত্র। আসামির তালিকায় আছেন কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়রও।

২০২৪ সালের ৪ আগস্টের সেই দুপুর কেন্দুয়ার চিরাং মোড় থেকে আঠারবাড়ী পর্যন্ত পাকা সড়কে শুরু হয় নৈরাজ্য। মোজাফরপুর ইউনিয়নের তবিয়ারগাতী গ্রামের বাসিন্দা মো. সবুজ মিয়া বাদী হয়ে কেন্দ্রীয় থানায় দায়ের করেন বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা। নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৬ জনের, অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকেও করা হয়েছে আসামি।

অভিযোগে বলা হয়, দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত বিশাল এক দল ট্যাম্পু, সিএনজি, ট্রাক, দোকানপাটে হামলা চালায়। চালায় লুটপাট, ভাঙচুর। শুধু তাই নয়, একাধিক স্থানে দেওয়া হয় আগুন। চারপাশে তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ, অবরোধ করা হয় সড়ক, সৃষ্টি হয় চরম জনদুর্ভোগ।

মামলার প্রধান আসামি হিসেবে নাম উঠে আসে কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল হক ভূঞার। মামলার দাবি অনুযায়ী, এমএন জাহাঙ্গীর চৌধুরীর নির্দেশেই সংঘটিত হয় এই হামলা।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে। এলাকাজুড়ে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

এখন শুধু প্রশ্ন কে বা কারা সত্যিকারের দায়ী?

এই সহিংসতার দায় কার কাঁধে পড়ে?

নাগরিক শান্তি কি আবার ফিরে পাবে কেন্দুয়া?

উত্তরের খোঁজে এখনও নীরব, অথচ উত্তপ্ত, এক এলাকা।

জনপ্রিয়

কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা।

কেন্দুয়ায় সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ: সাবেক মেয়রসহ ৪৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 

রেজুয়ান হাসান জয় , নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

রাজনৈতিক উত্তেজনা আর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ঠেকাতে রাস্তায় নেমে আসে সহিংসতার এক ভয়াল রূপ। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ সব মিলিয়ে কেন্দুয়া যেন একদিনে রূপ নেয় অস্থিরতার নগরীতে। আর সেই ঘটনার জের ধরেই এবার থানায় দায়ের হলো একটি বিস্তৃত অভিযোগপত্র। আসামির তালিকায় আছেন কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়রও।

২০২৪ সালের ৪ আগস্টের সেই দুপুর কেন্দুয়ার চিরাং মোড় থেকে আঠারবাড়ী পর্যন্ত পাকা সড়কে শুরু হয় নৈরাজ্য। মোজাফরপুর ইউনিয়নের তবিয়ারগাতী গ্রামের বাসিন্দা মো. সবুজ মিয়া বাদী হয়ে কেন্দ্রীয় থানায় দায়ের করেন বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা। নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৬ জনের, অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকেও করা হয়েছে আসামি।

অভিযোগে বলা হয়, দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত বিশাল এক দল ট্যাম্পু, সিএনজি, ট্রাক, দোকানপাটে হামলা চালায়। চালায় লুটপাট, ভাঙচুর। শুধু তাই নয়, একাধিক স্থানে দেওয়া হয় আগুন। চারপাশে তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ, অবরোধ করা হয় সড়ক, সৃষ্টি হয় চরম জনদুর্ভোগ।

মামলার প্রধান আসামি হিসেবে নাম উঠে আসে কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল হক ভূঞার। মামলার দাবি অনুযায়ী, এমএন জাহাঙ্গীর চৌধুরীর নির্দেশেই সংঘটিত হয় এই হামলা।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে। এলাকাজুড়ে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

এখন শুধু প্রশ্ন কে বা কারা সত্যিকারের দায়ী?

এই সহিংসতার দায় কার কাঁধে পড়ে?

নাগরিক শান্তি কি আবার ফিরে পাবে কেন্দুয়া?

উত্তরের খোঁজে এখনও নীরব, অথচ উত্তপ্ত, এক এলাকা।