, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬। কেন্দুয়ায় নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীম এর পরিবারের পাশে ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী।

অভিভাবক নেই কুয়েটে, ১১০০ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ। 

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ৫৬ পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

এক সপ্তাহেরও অধিক সময় ধরে অভিভাবকহীন দেশের অন্যতম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( কুয়েট) উপাচার্যের সাক্ষরের অভাবে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন, ভাতা এবং ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা। এ নিয়ে উদ্ধিগ্ন শিক্ষক, কর্মকর্তারা। সাক্ষর বাকি থাকায় আউটসোর্সিংয়ের ৩০ জন নিরাপত্তা কর্মী এপ্রিল মাসের বেতন এখনও পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কাজের বিলে উপাচার্যের সাক্ষরের অভাবে ৬শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ থমকে যাওয়ায় উপক্রম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখা থেকে জানাযায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের আর্থিক ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে। তার সাক্ষর ছাড়া এক টাকারও বিল পাস হয় না। প্রতিমাসে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষক, দুই শতাধিক কর্মকর্তা এবং পাঁচ শতাধিক কর্মচারীর বেতনের বিলে সাক্ষর করে থাকেন। কিন্তু অনুপস্থিত এবং পদত্যাগ মিলিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপাচার্য নেই কুয়েটে। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের চলতি মাসের বেতন ভাতা, ঈদ উৎসব ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিল সহ যাবতীয় ফাইনান্সিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকার নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া না পর্যন্ত এ সমস্যার সুরাহা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন আউটসোর্সিংয়ের নিরাপত্তা কর্মীর সুপারভাইজার মো: সুমন সরদার বলেন, আমরা সল্প বেতনে চাকুরী করি। প্রত্যেকের ফ্যামিলি আছে। দুই মাস বেতন বন্ধ। সবাইকে ধার – দেনা করে চলতে হচ্ছে। দোকানদাররা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। বেতন পাই না, এটা কাউকে বললেও বিশ্বাস করে না। সামনে ঈদ ছেলে মেয়ে নিয়ে কি করবো দুশ্চিন্তায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক ড. জুলফিকার হোসেন, বলেন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। উপাচার্যের সাক্ষরের অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর বিল পরিশোধ বন্ধ রয়েছে। সামনে ঈদ এবং ৩০ জুন অর্থ বছর শেষ হবে। ঈদের আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে বিল দিতে না পারলে ঈদের পর তারা কাজ বন্ধ করে দিবে, এমন আভাস দিয়েছে। তিনি বলেন, মাছুদ সয়ারকে অব্যাহতি দেওয়ার পর, অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য কাজের কোন বিলে সাক্ষর করেননি। দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এবিএম মামুনুর রশিদ বলেন, উপাচার্য না থাকার কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত ঠিকাদারগনকে সময়মত বিল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সময় মত বিল না পাওয়ায় তারা কাজের গতিও কমিয়ে দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিবে। তিনি বলেন, এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতন, ভাতা সব বন্ধ রয়েছে। সামনে ঈদ। এমতাবস্থায় দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। সংকট নিরসনে অতিদ্রুত একজন যোগ্য এবং কর্মঠ উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছে কুয়েট পরিবার। প্রসঙ্গত, শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনের মুখে ১৯ মে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হযরত আলী দাপ্তরিক কাজের কথা বলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর ২ দিন পর ২২ মে তিনি পদত্যাগ করেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৫ এপ্রিল উপাচার্য প্রফেসর অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ মাছুদ এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জনপ্রিয়

কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা।

অভিভাবক নেই কুয়েটে, ১১০০ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ। 

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

এক সপ্তাহেরও অধিক সময় ধরে অভিভাবকহীন দেশের অন্যতম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( কুয়েট) উপাচার্যের সাক্ষরের অভাবে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন, ভাতা এবং ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা। এ নিয়ে উদ্ধিগ্ন শিক্ষক, কর্মকর্তারা। সাক্ষর বাকি থাকায় আউটসোর্সিংয়ের ৩০ জন নিরাপত্তা কর্মী এপ্রিল মাসের বেতন এখনও পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কাজের বিলে উপাচার্যের সাক্ষরের অভাবে ৬শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ থমকে যাওয়ায় উপক্রম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখা থেকে জানাযায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের আর্থিক ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে। তার সাক্ষর ছাড়া এক টাকারও বিল পাস হয় না। প্রতিমাসে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষক, দুই শতাধিক কর্মকর্তা এবং পাঁচ শতাধিক কর্মচারীর বেতনের বিলে সাক্ষর করে থাকেন। কিন্তু অনুপস্থিত এবং পদত্যাগ মিলিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপাচার্য নেই কুয়েটে। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের চলতি মাসের বেতন ভাতা, ঈদ উৎসব ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিল সহ যাবতীয় ফাইনান্সিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকার নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া না পর্যন্ত এ সমস্যার সুরাহা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন আউটসোর্সিংয়ের নিরাপত্তা কর্মীর সুপারভাইজার মো: সুমন সরদার বলেন, আমরা সল্প বেতনে চাকুরী করি। প্রত্যেকের ফ্যামিলি আছে। দুই মাস বেতন বন্ধ। সবাইকে ধার – দেনা করে চলতে হচ্ছে। দোকানদাররা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। বেতন পাই না, এটা কাউকে বললেও বিশ্বাস করে না। সামনে ঈদ ছেলে মেয়ে নিয়ে কি করবো দুশ্চিন্তায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক ড. জুলফিকার হোসেন, বলেন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। উপাচার্যের সাক্ষরের অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর বিল পরিশোধ বন্ধ রয়েছে। সামনে ঈদ এবং ৩০ জুন অর্থ বছর শেষ হবে। ঈদের আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে বিল দিতে না পারলে ঈদের পর তারা কাজ বন্ধ করে দিবে, এমন আভাস দিয়েছে। তিনি বলেন, মাছুদ সয়ারকে অব্যাহতি দেওয়ার পর, অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য কাজের কোন বিলে সাক্ষর করেননি। দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এবিএম মামুনুর রশিদ বলেন, উপাচার্য না থাকার কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত ঠিকাদারগনকে সময়মত বিল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সময় মত বিল না পাওয়ায় তারা কাজের গতিও কমিয়ে দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিবে। তিনি বলেন, এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতন, ভাতা সব বন্ধ রয়েছে। সামনে ঈদ। এমতাবস্থায় দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। সংকট নিরসনে অতিদ্রুত একজন যোগ্য এবং কর্মঠ উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছে কুয়েট পরিবার। প্রসঙ্গত, শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনের মুখে ১৯ মে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হযরত আলী দাপ্তরিক কাজের কথা বলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর ২ দিন পর ২২ মে তিনি পদত্যাগ করেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৫ এপ্রিল উপাচার্য প্রফেসর অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ মাছুদ এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।