, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। কলমাকান্দায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা। কলমাকান্দায় ১৭ বছর পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক। আগের আমলের সেই মাফিয়াদেরকে একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম।  অস্বাভাবিক গরমে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ। আপনার ফোনে কোন ভার্সনের LMC বা GCam সাপোর্ট পাবে এবং কিভাবে সেই ভার্সন ডাউনলোড করবেন অতি সহজেই তা দেখে নিন!! জামালপুর সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দাপুনিয়া জলাশয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞত’নামা এক মৃত দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ যুবদল নেতা শামীমের পরিবারের পাশে ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী।৩ দিনের মধ্যে খোঁজ না মিললে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। ঈশ্বরগঞ্জে গলাকেটে রাকিব হত্যা, মামাতো ভাইসহ অন্যান্য মামলার আসামী গ্রেপ্তার -৬।

তিন দফা দাবিতে জয়পুরহাটে আংশিকভাবে পালিত শিক্ষক কর্মবিরতি

  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ৪৪ পড়া হয়েছে

সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল) ,জেলা প্রতিনিধিঃ

চাকরির শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন “প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ”।

তবে জয়পুরহাটের ৩৭১ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালন করা হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই পালন করছেন না এই কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সরেজমিনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখে গেছে, জয়পুরহাট পাঁচুরচক শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ রেখে তাদের কর্মবিরতি পালন করছেন।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাশরুফা জান্নাত মহি ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিকুর বলেন, আমরা গতকাল থেকে স্কুলে এসে শুধু খেলা ধুলা করে চলে যাচ্ছি, আমাদের কোন ক্লাসই হচ্ছে না। তারা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া হোক, তাহলে আমরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারবো এবং আমাদের শিক্ষকরা আমাদের ক্লাস নিবে আমাদের পড়াশোনা ঠিক থাকবে।

পাঁচুরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী কামরুন্নাহার বলেন, আমাদের তিন দফা দাবিতে আমরা এই কর্মবিরতি পালন করছি, আমাদের এই দাবিগুলো যৌক্তিক আমরা আমাদের দাবিগুলোর কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেনে নিবেন। তারপর আমরা পাঠদানে ফিরে যাবে।

অন্যদিকে শহরের আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সেখানে দেখান গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা।

কালেক্ট রিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানজিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা আমাদের দাবির প্রতি একমত, তবে ক্লাস বর্জন করে নয়, আমরা ক্লাসের পাঠদান অব্যাহত রেখে সরকারকে বলতে চাই আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়া হোক।

অন্যদিকে অভিভাবকরা বলছেন, এসব কর্মবিরতির ফলে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।

জনপ্রিয়

কেন্দুয়ায় LGCRRP প্রকল্পে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ।

তিন দফা দাবিতে জয়পুরহাটে আংশিকভাবে পালিত শিক্ষক কর্মবিরতি

প্রকাশের সময় : ০৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল) ,জেলা প্রতিনিধিঃ

চাকরির শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন “প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ”।

তবে জয়পুরহাটের ৩৭১ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালন করা হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই পালন করছেন না এই কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সরেজমিনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখে গেছে, জয়পুরহাট পাঁচুরচক শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষকরা পাঠদান বন্ধ রেখে তাদের কর্মবিরতি পালন করছেন।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাশরুফা জান্নাত মহি ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিকুর বলেন, আমরা গতকাল থেকে স্কুলে এসে শুধু খেলা ধুলা করে চলে যাচ্ছি, আমাদের কোন ক্লাসই হচ্ছে না। তারা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া হোক, তাহলে আমরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারবো এবং আমাদের শিক্ষকরা আমাদের ক্লাস নিবে আমাদের পড়াশোনা ঠিক থাকবে।

পাঁচুরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী কামরুন্নাহার বলেন, আমাদের তিন দফা দাবিতে আমরা এই কর্মবিরতি পালন করছি, আমাদের এই দাবিগুলো যৌক্তিক আমরা আমাদের দাবিগুলোর কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেনে নিবেন। তারপর আমরা পাঠদানে ফিরে যাবে।

অন্যদিকে শহরের আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সেখানে দেখান গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা।

কালেক্ট রিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানজিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা আমাদের দাবির প্রতি একমত, তবে ক্লাস বর্জন করে নয়, আমরা ক্লাসের পাঠদান অব্যাহত রেখে সরকারকে বলতে চাই আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়া হোক।

অন্যদিকে অভিভাবকরা বলছেন, এসব কর্মবিরতির ফলে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।